তথ্য গোপন করায় আফজালের সংসদ সদস্য পদ নিয়ে রুল জারি
কিশোরগঞ্জ-৫ (বাজিতপুর-নিকলী) আসনে আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য মো. আফজাল হোসেন কোন কর্তৃত্ব বলে পদে বহাল আছেন, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন, আইন মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রিপরিষদ সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রিট শুনানি শেষে আজ মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি আতাবুল্লার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট এ. বি. এম. সিদ্দিকুর রহমান খান। তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. শমসের মবিন তিয়াস।
মামলার বিবরণে জানাযায়, হলফনামায় মামলার তথ্য গোপনের অভিযোগে কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আফজাল হোসেনের বিরুদ্ধে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। রুলে কোন ক্ষমতাবলে তিনি সংসদ সদস্য পদে বহাল তা জানতে চেয়েছেন আদালত। একই সংসদীয় আসনের দুই ভোটার ও একজন মামলার বাদীর করা রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ রুল জারি করা হয়েছে।
আফজাল হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগের ব্যাপারে রিটকারী আইনজীবীকে জানান, তিনি নির্বাচনী হলফনামায় একটি মামলায় বেকসুর খালাসের কথা উল্লেখ করলেও তার বিরুদ্ধে একাধিক ফৌজদারি মামলা চলমান আছে যা তিনি গোপন করেছেন। তাই আমরা তার সংসদ সদস্য পদ চ্যালেঞ্জ করে আবেদন করেছিলাম। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৪ ফেব্রুয়ারি শুনানি শেষ করে ৬ ফেব্রুয়ারি আদেশের জন্য রাখেন। তারই ধারাবাহিকতায় আজ এ আদেশ দেন হাইকোর্ট।