সংসদে ব্যারিস্টার সুমনের ৩ প্রশ্ন, জবাবে যা বললেন পরিবেশমন্ত্রী
বন ও পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, ‘মাননীয় স্পিকার আমাদের সংসদ সদস্য সায়েদুল হক সুমন একজন ব্যারিস্টারও। তিনি একটি প্রশ্নের সুযোগে তিনটি প্রশ্ন করেছেন।’ আজ মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সংসদের সম্পূরক প্রশ্ন উত্তর পর্বে তিনি এই কথা বলেন। পরে ব্যরিস্টার সুমনের প্রশ্নে উত্তর দেন।
হবিগঞ্জ চার আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন প্রশ্নে বলেন, ‘পলিথিন ব্যাগ ১৯৯৫ সালে আইন করে বন্ধ করা হয়েছে। আইন প্রণয়নের পরে ২০ বছর হয়ে গেছে। এখন আমি সম্প্রতি আমার এলাকার নদী খনন করতে গিয়ে দেখলাম কয়েক হাজার মন শুধু পলিথিন। এখন পলিথিন ব্যাবহারকারীকে ফাইন করে যতটুকু কন্ট্রোল করা যাবে, তার চেয়ে যদি পলিথিনের উপাদান আমদানি বন্ধ করা হয়, সেদিকে আপনারা হাত দেবেন কি-না।
সুমন আরও বলেন, ব্রিক ফিল্ড (ইটভাটা) পরিবেশের সঙ্গে সঙ্গে আমার এলাকায় খেয়াল করে দেখলাম কৃষি জমির মাটি সব উনারা নিয়ে যাচ্ছেন। কিছুদিন পর পর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পাঠানো হয়। এটা এমনভাবে এমন জায়গায় চলে গেছে যে স্থানীয় প্রশাসন এটা কন্ট্রোল করতে পারছে না।’ তিনি বলেন, ‘আরেকটা প্রশ্ন হলো, পরিবেশ বিভাগের ছাড়পত্র। আমার বিবেচনায় আমার এলাকায় খেয়াল করে দেখলাম, ছাড়পত্র পাওয়া সবচেয়ে বেশি বিবেচিত হয়, কারণ কোনোভাবে ম্যানেজ করে এই ছাড়পত্র নেওয়া যায়। এই ব্যাপারে আপনারা শক্তিশালী ব্যবস্থা নেবেন কি না?’
জবাবে বন ও পরিবেশ মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘আমি প্রথমেই বলব, পরিবেশ ছাড়পত্র সহজীকরণের বিষয়ে। সেটি আমাদের টার্গেটে আছে। আজকে আমাদের মন্ত্রণালয় এবং এটুআই এবং এমিউ স্বাক্ষর করেছি। আমাদের চারটি শ্রেণি আছে সবুজ, কমলা এবং লাল। সবুজের যে ছাড়পত্র আছে, সেটা আমরা কীভাবে আরও সহজে একটা সেল্ফ এসেস মেন্টের মাধ্যমে করা যায় কি না। আমরা জানি, এখানে অনেক অভিযোগ আছে , দীর্ঘসূত্রিতার একটা অভিযোগ আছে এবং হয়রানির অভিযোগ আছে। এই বিষয়টা আমরা দেখছি। দ্বিতীয়টা আপনারা ইটভাটার কথাটা বললেন, বাংলাদেশে প্রতিবছর ১৩ কোটি মেট্রিকটন কৃষিজমি আমরা ব্যবহার করছি এই ইটভাটার জন্য এবং সেটা খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়ে একটি প্রভাব আছে। আমরা সে সমাধান হিসেবে ব্লকের দিকে চলে যাওয়ার চেষ্টা করছি।