সালাম মুর্শেদীর বাড়ি ঘিরে জালিয়াতি হয়েছে, হাইকোর্টে দুদকের প্রতিবেদন
খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সহসভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি সংক্রান্ত দুদকের তদন্ত প্রতিবেদনের পাশাপাশি বাড়ির যাবতীয় নথি চেয়েছেন হাইকোর্ট। আজ বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদন ও মামলার এফআইআর হাইকোর্টে দাখিলের পর বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
তদন্ত প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, সালাম মুর্শেদীর বাড়ি ঘিরে জালিয়াতির ঘটনার প্রমাণ পেয়েছে দুদকের অনুসন্ধান কমিটি। পরে আদালত বলেন, ‘এই বাড়ির চেইন অব টাইটেল আমাদের দেখাতে হবে।’ আগামী মঙ্গলবারের (১৩ ফেব্রুয়ারির) মধ্যে দুদককে যাবতীয় নথি দাখিল করতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার অনীক আর হক ও ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। সালাম মুর্শেদীর পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।
দুদকের প্রতিবেদনের বিষয়ে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, ‘সালাম মুর্শেদীর বাড়িকে ঘিরে জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে। দুদকের অনুসন্ধানে এ তথ্য উঠে এসেছে। ওই বাড়ি নিয়ে করা মামলার তদন্তে কার কতটুকু দায় আছে জানা যাবে।’
গত ১৭ জানুয়ারি খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সহসভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি নিয়ে দুদককে অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আজকের দিন ধার্য করেছিলেন আদালত।
এর আগে আব্দুস সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি নিয়ে অভিযোগ অনুসন্ধানে দুই সদস্যের কমিটি গঠন করে দুর্নীতি দমন (দুদক)।
গত বছরের ১৬ জানুয়ারি আব্দুস সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি সংক্রান্ত মূল নথি এবং এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন এফিডেভিট করে এক সপ্তাহের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
গত বছরের ১২ ডিসেম্বর আব্দুস সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি সংক্রান্ত নথি ও প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ও রাজউককে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছিল। একইসঙ্গে তার দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি নিয়ে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনটি দুদককে দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
গত বছরের ১৩ নভেম্বর গুলশানের বাড়ি সম্পর্কিত কাগজপত্র হাইকোর্টে দাখিল করা হয়। সেদিন সালাম মুর্শেদীর পক্ষে কাগজপত্র দাখিল করেন তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা।
গত বছরের ১ নভেম্বর সরকারের সম্পত্তি নিজের নামে লিখে বাড়ি বানানোর অভিযোগে সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে এ সম্পত্তি সম্পর্কিত সব কাগজপত্র ১০ দিনের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে (রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) রাজউক, গণপূর্ত বিভাগ ও সালাম মুর্শেদীকে নির্দেশ দেন আদালত।