হৃদয়ের অনবদ্য শতকে কুমিল্লার দুর্দান্ত জয়
তাসকিন আহমেদের করা ইনিংসের ১৯তম ওভারের দ্বিতীয় বল। দৌড়ে দুই রান নিলেন তাওহিদ হৃদয়। স্কোরবোর্ডে তার নামের পাশে তখন তিন অঙ্কের রান। ৫৩ বলে শতরান পূর্ণ করলেন কুমিল্লার এই টপ অর্ডার ব্যাটার। তার শতকে ভর দিয়ে দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে চার উইকেটের অসাধারণ জয় তুলে নিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামে ঢাকা। ২০ ওভার শেষে চার উইকেট হারিয়ে ১৭৫ রান করে দলটি। জবাবে ১৯.৫ ওভারে চয় উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রান তোলে কুমিল্লা।
কুমিল্লার সামনে লক্ষ্যটা ছিল বড়। সেটি তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ২৩ রান তুলতেই টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকে হারিয়ে ধুঁকছিল দলটি। প্রথম ওভারেই সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক লিটন দাস। পাঁচ বলে আট রান করে শরিফুল ইসলামের বলে লেগ বিফোর হন তিনি।
আরেক ওপেনার উইল জ্যাকস ৯ রান করে রান আউট হন। কুমিল্লার অন্যতম ভরসা দলটির সাবেক অধিনায়ক ইমরুল কায়েসও পারেননি হাল ধরতে। তিন বলে এক রান করে শরিফুলের বলে চতুরাঙা ডি সিলভার হাতে ক্যাচ দেন। চারবারের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লাকে কক্ষপথে ফেরান ব্রুক গেস্ট। ৩৫ বলে ৩৪ রানের ইনিংসটি ধীরগতির হলেও কুমিল্লাকে একটু একটু করে এগিয়ে নিতে সাহায্য করে।
গেস্টের সেই ইনিংস সাহায্য করেছে আরেকজনকে। হাত খুলে খেলতে পেরেছেন হৃদয়। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে নিজের প্রথম শতক পাওয়া ইনিংসে তিনি খেলেন হাত খুলে। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৫৭ বলে ১০৮ রানের। ১৮৯.৪৭ গড়ে দুর্দান্ত ইনিংসটি তিনি সাজিয়েছেন আটটি চার ও সাতটি ছক্কার মারে। যে ইনিংস কুমিল্লাকে জয়ের সাহস জুগিয়েছে।
এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে কুমিল্লা। সাত ম্যাচে পাঁচ জয়ে ১০ পয়েন্ট দলটির। ঢাকার পক্ষে শরিফুল নিয়েছেন দুই উইকেট। একটি করে উইকেট পান আরাফাত সানি, ইরফান ও ডি সিলভা।
এর আগে ব্যাক হাতে শুরুটা ভালো করতে পারেনি ঢাকা। আল ইসলামের বলে গেস্টের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ডি সিলভা। ১৩ বলে ১৪ রান করেন এই ওপেনার। এক উইকেট হারিয়ে ঘুরে দাঁড়ায় ঢাকা। একাধিক ক্যাচ মিসের মাশুল গুনতে হয়েছে কুমিল্লাকে। ওপেনার নাঈম শেখ ও দুইয়ে নামা সাইফ হাসান মিলে ১১৯ রানের জুটি গড়েন।
অর্ধশতকের দেখা পান নাঈম ও সাইফ দুজনই। ১৭তম ওভারে কুমিল্লাকে ব্রেক থ্রু এনে দেন ম্যাথু ফোর্ড। একই ওভারে জোড়া উইকেট এনে দেন দলকে। প্রথমে সাইফকে পরিণত করেন লিটন দাসের ক্যাচে। ৪২ বলে চারটি চার ও তিনটি ছক্কায় ৫৭ রান করেন সাইফ। ওই ওভারের পঞ্চম বলে হিট উইকেট হন নাঈম। তার আগে ৪৫ বলে নয়টি চার ও এক ছক্কায় ৬৪ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।
শেষ দিকে অ্যালেক্স রসের ১১ বলে অপরাজিত ২১ রানের ক্যামিও এবং মেহরাবের আট বলে ১১ রানে বড় দিয়ে ঢাকা পায় বড় সংগ্রহের দেখা।
কুমিল্লার পক্ষে চার ওভারে ৩৫ রানে তিন উইকেট শিকার করেন ফোর্ড। ২৯ রান দিয়ে এক উইকেট পান আল ইসলাম।