রমজানে নিরবচ্ছিন্ন খাদ্য নিশ্চয়তা দিতে পারব : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, আশা করছি আগামী রমজানে নিরবচ্ছিন্নভাবে ভোক্তাপর্যায়ে খাদ্য নিশ্চয়তা দিতে পারব এবং কোন রকম মজুতদারী বা কারসাজি করার চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
আজ রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সাইদুল হক সুমনের এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন। সংসদ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
ব্যারিস্টার সাইদুল হক সুমন বলেন, দ্রব্যমূল্যের দাম প্রতিবছরই কোনো না কোনো ফরম্যাটে বাড়ে। এবারের বিষয়টা একটু ভিন্ন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বার বার বিষয়টা জোড় দিয়েছেন যে ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধ এবং ডলারের দাম নিয়ে। এই দুইটার কারণে দ্রব্যমূলের দাম অনেক বাড়তেছে। মাননীয় মন্ত্রী আপনি বাজার মনিটরিং এর কথা বলেছেন। কিন্তু, এখানে রাস্তা ও সিন্ডিকেট মনিটরিং ছাড়া অনেকগুলো মনিটরিং রয়েছে । এরমধ্যে আপনার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যদি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় ও অর্থমন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা যদি না নেন, তাহলে এই ব্যাপারে আপনি কতটুকু পারবেন? এ ছাড়া আপনাদের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব কোন জয়েণ্ট টাস্কফোর্স রয়েছে কী না এবং যারা এক ডিপার্টমেন্টে পারবেন না তারা অন্য ডিপার্টমেন্টের সহযোগিতা নিয়ে এবং এই ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কোন হস্তক্ষেপ আপনারা চাইবেন কী না। কেন না আমাদের শেষ ভরসাস্থল তো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, তিনি আমাদের ক্রাইসিস থেকে বাঁচিয়ে এনেছেন।
এ সময় বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের প্রথম কেবিনেট থেকেই দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। আন্তমন্ত্রণালয় একটি সমন্বয় কমিটির মাধ্যমে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সেখানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতিনিধি আমাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছে। এই টাস্কফোর্সের মাধ্যমে নিরবচ্ছিন্নভাবে পণ্য সরবরাহের বিষয়ে গতকালও (শনিবার) প্রধানমন্ত্রী আমাদের বিভিন্ন পর্যায়ে, বিশেষ করে পরিবহণ পর্যায়ে যেন কোনো প্রতিবন্ধকতা না হয়, বাজার ব্যবস্থাপনায়ও যাতে প্রতিবন্ধকতা না হয়, সে বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন। এই নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়ন করতে সমন্বিতভাবে আমরা কৃষি মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা আশা করছি, রমজানে নিরবচ্ছিন্নভাবে খাদ্যের সরবরাহ ভোক্তা পর্যায়ে নিশ্চিত করতে পারব। কোনো ধরনের মজুতদারি বা কোনো রকম কারসাজি করার চেষ্টা করা হলে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।