বইমেলায় মজিদ মাহমুদের উপন্যাস ‘তুমি শুনিতে চেয়ো না’ ফেলেছে সাড়া
এবারের অমর একুশে গ্রন্থমেলায় বেশ সাড়া জাগিয়েছে ‘তুমি শুনিতে চেয়ো না’। নজরুল-জীবনভিত্তিক উপন্যাসটি লিখেছেন বহুমাত্রিক মজিদ মাহমুদ। কথাপ্রকাশ মলাটবদ্ধ করেছে, যার প্রচ্ছদ করেছেন মোস্তফিজ কারিগর।
কবি, ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, অনুবাদক ও নজরুল গবেষক মজিদ মাহমুদ উপন্যাস সম্পর্কে বলেন, বিশ শতকের মাহাবিদ্রোহী, ধূমকেতুর মতো আকস্মিক আগমন নজরুলের। তার বাণীর আঘাতে কেঁপে উঠেছিল ব্রিটিশ সাম্রাজ্য, কবিতায় গানে অসহায় মানুষদের মুখে দিলেন ভাষা, জাত, ধর্ম এবং নির্বিশেষে চাইলেন বৈষম্যহীন মুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু কী এমন ঘটল, অদৃশ্যের ইঙ্গিতে মাত্র তেতাল্লিশ বছর বয়সে হয়ে গেলেন নির্বাক, জীবনের বাকি চৌত্রিশ বছর বললেন না একটি কথা। বন্ধুরা দেখেতে আসতেন, ভক্তরা দেখতে আসতেন, অসুস্থ স্ত্রীর পাশে অনুগত বসে থাকতেন। কখনও চোখে-মুখে ফুটিয়ে রাখেতেন দুষ্টুমির ঝিলিক। এই আমাদের বিদ্রোহী কবি।’
মজিদ মাহমুদ আরও বলেন, ‘তুমি শুনিতে চেয়ো না’ উপন্যাসটিতে নজরুলের শৈশব থেকে প্রাক যৌবন পর্যন্ত একটি কাল এবং নির্বাক হয়ে যাওয়া থেকে মৃত্যু পর্যন্ত আর একটি কাল বা পর্ব আছে। নজরুলকে নিয়ে প্রকাশিত জীবনী গ্রন্থগুলোতে শৈশব থেকে প্রাক যৌবন পর্বের খুব বেশি বিবরণ পাওয়া যায় না। দীর্ঘ গবেষণার মাধ্যমে এই উপন্যাসে বিস্তারিত উপস্থাপন করেছি। এইটা সত্য নজরুলের ওপর যারা কাজ করেছেন তারা শৈশব থেকে প্রাকযৌবনকাল বেশির ভাগ সময় এড়িয়ে গেছেন তথ্যর অভাবে। যদিও বা কিছু বিবরণ পাওয়া গেছে, তবে তার ভেতরে রয়ে গেছে অনেক ফাঁকফোকর অসঙ্গতি। এসব কিছুর পাশ কাটিয়ে বিদ্রোহী কবিকে নিয়ে পাঠকের আগ্রহ, পূর্বঅভিজ্ঞতা ও পঠন এই গ্রন্থের বয়ান ও শৈলীর দ্বারা নিরসন হওয়ার দাবি রাখে বলে আমি বিশ্বাস রাখি।’
‘তুমি শুনিতে চেয়ো না’ উপন্যাসটি পাওয়া যাচ্ছে গ্রন্থমেলার কথাপ্রকাশের ২১ নাম্বার প্যাভিলিয়নে। এ ছাড়া রকমারি ডটকমেও মিলবে বইটি।