স্পিকারকে দেখে বসন্ত ঋতুর কথা মনে পড়ল চুন্নুর
কিশোরগঞ্জের-৩ আসনের সংসদ সদস্য মো. মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, ‘মাননীয় স্পিকার ভুলে গেছিলাম, গতকাল ছিল পহেলা ফাল্গুন, বসন্ত ঋতু । আজকে আপনাকে দেখে মনে পড়েছে। গত বছরের বসন্ত ঋতুতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে বলেছিলেন কালার ব্লাইন্ড। বসন্ত ঋতু চলছে, আপনি নিশ্চয় আমাকে কালার ব্লাইন্ড বলবেন না ‘ এরপর তিনি প্রশ্ন উত্থাপন করেন। বলেন, ‘মাননীয় স্পিকার আমার তারকা চিহ্নিত প্রশ্ন ৩০৮ সংসদে উত্থাপন করলাম।’
আজ বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে প্রশ্ন উত্তর পর্বে মো. মুজিবুল হক চুন্নু এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, ১৯৭০-এর আগেও যে আন্দোলন হয়েছিল ৬ দফার, তারমধ্যে অন্যতম ছিল সোনালি আঁশ রপ্তানি করে পাকিস্তান সরকার রপ্তানি করে সব ওয়েস্ট পাকিস্তানে খরচ করত। এর বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদ ছিল। আজকে সেই সোনালি আঁশের সোনালি দিন নেই। মাননীয় মন্ত্রী, আপনার প্রশ্নের উত্তরের শেষে উল্লেখ করেছেন যে, রাষ্ট্র রিজেন্সি নিয়ন্ত্রাধীন মিল হতে ১৪টি ইজারা দিয়েছেন। মানে প্রাইভেট ইজারা দিয়েছেন বা বিক্রি করেছেন। আমার একধরনের অভিজ্ঞতা আছে এগুলো কোনো ভালো অবস্থানে নেই। জায়গা, জমি প্রপ্রার্টি হিসাবে এটা অনেকে কিনে নিয়েছে।
চুন্নু আরও বলেন, শ্রমিকদের পাওনাও ঠিকমতো দিতে পারেনি। হাইকোর্টেও মামলা হয়েছে, এই পার্ট আমাদের যে এক্সপোর্ট হয়, সবচেয়ে বেশি পয়সা আছে আমাদের গার্মেন্টস থেকে। আমাদের কিন্তু ডাইভারসেপিশনে যাওয়া দরকার, পাট একমাত্র পরিবেশবান্ধব, একমাত্র পণ্য। আপনি উল্লেখ করেছেন, দেশের ছয়টি জেলায় পরিবেশনবান্ধব পণ্য উৎপাদন করা যায়, উৎপাদনকারীদের আপনি ট্রেনিং অথবা এনকারেজ করছেন। যেহেতু উন্নত দেশে পরিবেশসহায়ক এই পণ্যটা ডিমান্ড আছে, আপনি বলেছেন রাষ্ট্রদূতদের চিঠি দিয়েছেন, এই চিঠিতে কাজ হয় না। চিঠি চিঠির মতো থাকে। যদি পরিবেশ বান্ধব উন্নত করতে চান তাহলে আপনার মন্ত্রণালয় থেকে বিদেশে ক্যাশ প্রগ্রাম করে পরিবেশ বান্ধব মার্কেটিং ব্যবস্থা করতে পারেন, তাহলে মনে হয় এক্সপোর্টে ভালো করতে পারব।