উড়তে থাকা কুমিল্লাকে মাটিতে নামাল সিলেট
লক্ষ্যটা সহজ ছিল না। জিততে হলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে পাড়ি দিতে হতো ১৭৭ রান। এই রান তাড়ায় লড়াই জমিয়ে তোলেন লিটন দাস। কিন্তু অধিনায়ক প্রান্ত আগলে রাখলেও অন্য প্রান্তে সতীর্থের আসা-যাওয়ার মিছিলে ব্যর্থ হয় কুমিল্লা। উড়তে থাকা কুমিল্লাকে মাটিতে নামিয়ে জয় তুলে নেয় সিলেট স্ট্রাইকার্স।
সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিদায় নিশ্চিত হয়েছে আগেই। নিশ্চিত হয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের প্লে-অফও। আপাত মূল্যহীন এক ম্যাচে বিপিএলে আজ সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) কুমিল্লাকে ১২ রানে হারিয়েছে সিলেট।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিং বেছে নিয়েছে সিলেট। আগে ব্যাট করে ২০ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে দলটির সংগ্রহ ১৭৭ রান। সুতরাং সিলেটকে হারাতে কুমিল্লার প্রয়োজন ১৭৮ রান।
জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ওভারে ১৬৫ রানে থেমে যায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। বড় রান তাড়ায় শুরুটা চরম বাজে হয় কুমিল্লার। ইনিংসের শুরুতেই ওপেনার ইমরুল কায়েসকে হারায় তারা। সামিথ প্যাটেলের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ৩ রানে বিদায় নেন ইমরুল।
ওয়ানডাউনে নামা তাওহিদও টিকতে পারেননি। ১৭ রানে তিনি পড়েন তানজিম হাসান সাকিবের ফাঁদে। তবে স্রোতের বিপরীতে ছিলেন লিটন দাস। মাথাঠাণ্ডা রেখে দলকে এগিয়ে নেন অধিনায়ক। তার ব্যাটে চড়েই এক সময় জয়ের আশা জাগায় কুমিল্লা। কিন্তু বাকিদের আসা-যাওয়ার মিছিলে সেটা আর সম্ভব হয়নি।
দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৫ রান করেন লিটন। ৫৭ বলে তার ইনিংসটি সাজানো ছিল সাতটি বাউন্ডারি আর তিনটি ছক্কায়। জনসন চার্লস করেন ১২ রান। রাসেলের ব্যাট থেকে আসে ২৩ রান।
এর আগে ব্যাট হাতে সিলেটকে মাঝারি শুরু এনে দেন দুই ওপেনার জাকির হাসান ও কিনার লুইস। ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলে জুটি ভাঙেন সুনীল নারিন। ক্যারিবিয়ান তারকার বলে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফেরেন জাকির। ১৭ বলে ১৮ রান আসে জাকিরের ব্যাট থেকে। মুশফিক হাসানের বলে জনসন চার্লসের তালুবন্দি হয়ে ফেরেন অপর ওপেনার লুইস। ২৫ বলে ৩৩ রানের সম্ভাবনায় ইনিংস খেলে বিদায় নেন তিনি।
ব্যাট হাতে এদিন রীতিমতো ধুঁকেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ১৮ বলে ১২ রানের মন্থর ইনিংস থামে রিশাদ হোসেনের বলে বোল্ড হয়ে। ইয়াসির আলি থামেন দুই রান করে। কুমিল্লার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে একটা সময় বেশ ধুঁকছিল সিলেট। তবে, শেষ দিকে রানের গতি বাড়ান অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন ও বেনি হাওয়েল। ২০ বলে ২৮ রান করে নারিনের বলে লেগবিফোর হন মিঠুন।
মিঠুন ফিরলেও অর্ধশতক পূরণ করে নেন হাওয়েল। ঝড়ো ফিফটিতে সিলেটের সংগ্রহ নিয়ে ১৮০ রানের কাছাকাছি। ২০০ স্ট্রাইক রেটে ৩১ বলে ৬২ রানে অপরাজিত থাকেন হাওয়েল। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ছয়টি চার ও চারটি ছক্কায়।
কুমিল্লার পক্ষে চার ওভারে এক মেডেনসহ ১৬ রানে দুই উইকেট নেন নারিন। ৩৭ রান খরচায় রিশাদও পান দুই উইকেট।