ট্রেন-পিকআপ-অটোরিকশার ত্রিমুখী সংঘর্ষে আহত ৪
নেত্রকোনার বারহাট্টায় ট্রেন, পিকআপ ও অটোরিকশার ত্রিমুখী সংঘর্ষেও বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল একই পরিবারের তিনজন। এ সময় অটোরিকশার যাত্রী মা ও দুই সন্তানসহ আহত হয়েছে চারজন। ঘটনাটি ঘটেছে আজ সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বারহাট্টা রেল স্টেশন এলাকার নিকটবর্তী মাস্টার পাড়ায়।
আহতরা হলেন আটপাড়া উপজেলার বানিয়াজান গ্রামের মো. সোহেল মিয়ার স্ত্রী শান্তা (৩৮), ছেলে শামী (১২), মেয়ে জান্নাত (৮) ও মোহনগঞ্জের পানুর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে মো. শাহ আলম (২০) । গুরুতর আহত শামীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, নেত্রকোনার বারহাট্টা রেল স্টেশনের ইনার-সিগন্যালের নিকটবর্তী রেলক্রসিং থেকে পূর্বদিকে বারহাট্টা-আটপাড়া সড়কের রেলক্রসিং পর্যন্ত রেল লাইনের পাশঘেঁষে হেঁটে চলাচলের রাস্তা আছে। ওই সড়ক দিয়ে আজ সকাল সোয়া ৮টার দিকে পূবদিক থেকে একটি পিকআপ পশ্চিম দিকে এবং পশ্চিম দিক থেকে ব্যাটারিচালিত দুটি অটোরিকশা পূর্বদিকে যাচ্ছিল। এ সময় ঢাকাগামী হাওর এক্সপ্রেস ট্রেন এলে ট্রেনের ইঞ্জিনের সঙ্গে পিকআপের ধাক্কা লাগে। পরে পিকআপটি যাত্রীবাহী অটোরিকশা দুটিকে ধাক্কা দিলে ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়।
বারহাট্টা স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, বারহাট্টা সদরের মূল সড়কে যানজট লেগেই থাকে। স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসীর সুবিধার্থে সড়কটি শুধু হেঁটে চলাচলের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে। এ জন্য নির্মাণের পর সড়কটির পুর্ব ও পশ্চিম মাথায় খুঁটি (রেল) পূঁতে যানচলচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়। এক শ্রেণির চালক রাতের আঁধারে খুঁটিগুলো উপড়ে সরিয়ে দিয়ে বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল, সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, মালামাল বোঝাই পিকআপ, এমনকি ট্রাকও চালায়। এ কারণে সড়কটি ভেঙ্গে পড়ার পাশাপাশি প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। কয়েকদিন আগেও সাধন নামের একব্যক্তি এই রাস্তায় চলার সময় যানবাহন ও ট্রেনকে সাইড দিতে গিয়ে বিভ্রান্ত হন। পরে ট্রেনের ধাক্কায় তিনি মারা যান।
মোহনগঞ্জ রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. ফজলুল হক ট্রেন, পিকআপ ও অটোরিকশার ত্রিমুখী সংঘর্ষ এবং দুই শিশুসহ চারজন আহত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।