পরী মণির বিরুদ্ধে মাদক মামলা চলবে
রাজধানীর বনানী থানায় চিত্রনায়িকা পরী মণির (শামসুন্নাহার স্মৃতি) বিরুদ্ধে দায়ের করা মাদক মামলা বাতিলের আবেদন পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। ফলে তার বিরুদ্ধে মাদক মামলা চলবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
আজ বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
হাইকোর্ট আজ রায় দিয়ে বলেন, এলএসডিসহ জব্দ করা অন্য মাদকের বিষয়ে বিচার চলবে। আর অ্যালকোহল সম্পর্কে মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় জানিয়ে দেওয়া হবে। আদালত আরও বলেন, তার ঘর থেকেই এই মাদক উদ্ধার করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। মামলা বাতিল প্রশ্নে জারিকৃত রুল পর্যবেক্ষণসহকারে নিষ্পত্তি করে এ রায় দিয়েছে হাইকোর্ট।
পরে পরী মণির আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক বলেন, হাইকোর্টের এ রায়ের পর পরী মণির বিরুদ্ধে নতুন করে চার্জ ফ্রেম করতে হবে। বিচারে মাদকের অংশটা বাদ যাবে।
২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক নজরুল ইসলাম এই মামলায় তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদেশ দেন। বিচার শুরু হওয়া অপর দুই আসামি হলেন- পরী মণির সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দিপু ও মো. কবীর হাওলাদার। চার্জ শুনানিকালে তিন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আসামিপক্ষে আইনজীবীরা অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠনের প্রার্থনা করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত অব্যাহতির আবেদন নাকচ করেন। এরপর আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ পড়ে শোনানো হয়। তাদের জিজ্ঞাসা করা হয়, তারা দোষী না নির্দোষ। এ সময় আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চান। এরপর আদালত চার্জ গঠনের আদেশ দেন। পরে পরী মণি হাইকোর্টে মামলা বাতিলের আবেদন করেন। হাইকোর্ট একইসালের ১ মার্চ মামলার কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়ে রুলসহ আদেশ দেন। রুলে এ মামলা কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। এ রুলের ওপর গত বছরের ২৪ আগস্ট শুনানি শেষ হয়। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না, সৈয়দা নাসরিন ও মো. শাহীনুজ্জামান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি মো.সারওয়ার হোসেন বাপ্পি।
২০২১ সালের ৪ আগস্ট বিকেলে রাজধানীর বনানীর ১২ নম্বর সড়কে পরী মণির বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। এ সময় ওই বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। মাদকের মামলায় পরী মণির ৫ আগস্ট চারদিন ও ১০ আগস্ট দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ১৩ আগস্ট রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর ১৯ আগস্ট আরও একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে গত ২১ আগস্ট আবার তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। একই বছরের ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ তার জামিন মঞ্জুর করেন। পরের দিন তিনি কারামুক্ত হন। ২০২১ সালের ৪ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক কাজী গোলাম মোস্তফা পরীমণিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেন।