গেইল-কোহলির ভিন্ন লড়াই
আর কয়েক দিন পর শুরু হতে যাওয়া আইপিএলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়বেন ক্রিস গেইল ও বিরাট কোহলি। কোহলির অধীনে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরে খেলবেন গেইল। তবে আজ তাঁরা একে অন্যের ঘোর শত্রু। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ভারত আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের সবচেয়ে বড় ভরসাও বটে। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে তাই ভিন্ন এক লড়াইয়ে অবতীর্ণ দুই তারকা ব্যাটসম্যান।
বেশ কিছুদিন ধরেই কোহলির ব্যাটে রানের জোয়ার। গত জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়া সফর থেকে যে জোয়ার অব্যাহত। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে অপরাজিত ৯০, অপরাজিত ৫৯ ও ৫০ রানের তিনটি দুর্দান্ত ইনিংস খেলে বলতে গেলে তিনি একাই হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় ফেলে দিয়েছিলেন অস্ট্রেলীয়দের। ঢাকায় অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপেও ভারতের শিরোপা জয়ে বড় অবদান ছিল কোহলির। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তো তাঁর দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিপক্ষে অপরাজিত ৫৫ এবং বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে পরিণত ম্যাচে অপরাজিত ৮২ রানের অবিস্মরণীয় ইনিংস খেলা কোহলির সঙ্গে শচীন টেন্ডুলকারের তুলনা করতেও বাঁধছে না অনেকের।
গেইলও দুর্দান্ত শুরু করেছিলেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ম্যাচে চোখধাঁধানো শতক করে উড়িয়ে দিয়েছিলেন ইংল্যান্ডকে। তবে এর পর ব্যাট করেছেন একটাই ম্যাচে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেই ম্যাচে মাত্র চার রান করে আউট হয়ে যান তিনি।
সেমিফাইনালের আগে তাই কিছুটা হলেও চাপের মুখে গেইল। তুলনায় কোহলি একটু বেশিই নির্ভার। শেষ চারের লড়াইয়ে কোহলিকে রসিকতা করে রান না করার অনুরোধও করেছেন গেইল। তবে আজ মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে জ্বলে ওঠার প্রত্যয় তাঁর কণ্ঠে, ‘আমি দেখাতে চাই ক্রিস গেইল আসলে কী! টুর্নামেন্টে আমি মাত্র দুবার ব্যাট করেছি। তবে এই ম্যাচ (সেমিফাইনাল) টুর্নামেন্টে প্রকৃত সূচনার জন্য এক নিখুঁত সুযোগ।’ এরপর ভারতের বোলারদের সামনে চ্যালেঞ্জের সুরে গেইলের ঘোষণা, ‘ক্রিস গেইল সব সময়ই ইতিবাচক। কোন বোলার ক্রিস গেইলের বিপক্ষে বল করছে, তা কোনো ব্যাপার নয়। ক্রিস গেইল আক্রমণ করবেই। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের তো এটাই ধর্ম। আর এটা ক্রিস গেইলেরও ধর্ম।’
ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজের লড়াইয়ের পাশাপাশি গেইল-কোহলির ব্যক্তিগত লড়াইও তাই জমে যাওয়ার কথা!