নিশাম ঝড়ে কুমিল্লার সামনে কঠিন লক্ষ্য
ইনিংসের শুরুটা ছিল চরম হতাশার। দলীয় ২৭ রানেই নেই তিন টপ অর্ডার। বাকিরাও ব্যস্ত ছিলেন উইকেটে আসা-যাওয়ার মিছিলে। কিন্তু স্রোতের বিপরীতে চমক দেখিয়েছেন জেমি নিশাম। শেরেবাংলায় ঝড় তুলে উপহার দিয়েছেন ৯৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে। নিশামের ঝড়ে প্রথম কোয়ালিফায়ারে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে ১৮৬ রানের চ্যালেঞ্জ দিতে পেরেছে রংপুর রাইডার্স।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচটিতে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে স্কোরবোর্ডে ১৮৫ রান তুলেছে রংপুর রাইডার্স। এই রান এবার টপকাতে পারলেই প্রথম দল হিসেবে ফাইনালের টিকিট পাবে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। নয়ত প্রথম ফাইনালিস্ট হবে সাকিবের রংপুর।
দর্শকভর্তী স্টেডিয়ামে ম্যাচটিতে টসে জিতে কুমিল্লা বেছে নেয় বোলিং। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় রংপুর। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই হারায় ওপেনার শামীম হোসেনকে। তানভির ইসলামের ডেলিভারিতে আন্দ্রে রাসেলের হাতে ক্যাচ দিয়ে শূন্যতে বিদায় নেন শামীম।
আরেক ওপেনার রনি তালুকদারও পারেননি থিতু হতে। তৃতীয় ওভারেই উইকেটের পেছনে লিটনের হাতে ক্যাচ বানিয়ে তাকে বিদায় করেন বর্ষন। রনির ব্যাট থেকে আসে মাত্র ১১ রান। ওয়ানডাউনে নামা সাকিবকে মাঠছাড়া করেন রাসেল। ক্যারিবীয় তারকাকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে বর্ষনের হাতেই ক্যাচ তুলে দেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। ২৭ রানে তিন উইকেট হারায় রংপুর, সাকিব করেন ৫রান।
দ্রুত টপ অর্ডারদের হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় রংপুর। সেখান থেকে উদ্ধার করেন জেমি নিশাম। প্রথমে শেখ মেহেদির সঙ্গে ৩৯ রানের জুটিতে লড়াই করেন। এরপর ২২ রান করে মেহেদি ফিরলে জুটি বাধেন নিকোলাস পুরানের সঙ্গে। ওই জুটিও বেশিদূর যায়নি। ঝড় তোলার আগেই পুরানকে থামান মুশফিক হাসান। ৯ বলে ১৪ রানের বেশি করতে পারেননি পুরান। ভাঙে ৩৯ রানের জুটি।
একে একে সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মিছিলে উইকেটে থিতু ছিলেন নিশাম। ৩১ বলে কিউই তারকা তুলে নেন ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি। এরপর বাকি ইনিংস তিনিই টানেন। কিউই তারকার ব্যাটে চড়েই লড়াইয়ের পুঁজি পায় রংপুর রাইডার্স। শেষ পর্যন্ত উইকেট ধরে রেখে ৯৮ রানের ইনিংস উপহার দিয়েছেন নিশাম। ৪৯ বলে যা সাজানো সাতটি ছক্কা আটটি চারে।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে বল হাতে ৪ ওভারে ৭২ রান দিয়ে এক উইকেট নেন মুশফিক হাসান। বিপিএলের ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে খরুচে বোলিং। আন্দ্রে রাসেল ৩৭ রান দিয়ে নেন দুটি। সুনিল নারিন নেন একটি করে উইকেট।