ছুরিকাঘাতে কলেজছাত্র শাওন খুন, গ্রেপ্তার ৫
চট্টগ্রামে ক্যামেরা ছিনতাইয়ের সময় বাধা দেওয়ায় উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে শাওনকে হত্যা করা হয়। শাওন হত্যার ঘটনায় তথ্যপ্রযুক্তির সহযোগিতায় নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপকমিশনার (উত্তর) পঙ্কজ দত্ত এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তারের পর গ্রেপ্তারকৃতরা পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শাওন খুনের ঘটনায় তাদের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এমন তথ্য পুলিশকে জানিয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে নগরীর চান্দগাঁও থানাধীন অনন্যা আবাসিক এলাকা থেকে ছুরিকাঘাতে নিহত শাওন বড়ুয়ার মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. ইমতিয়াজ আলম মুরাদ, আশহাদুল ইসলাম ইমন, মো. তৌহিদুল আলম, মো. বাহার ও মো. আলমগীর।
সিএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার (উত্তর) পঙ্কজ দত্ত বলেন, ভিকটিম শাওন বড়ুয়া (২৩) চট্টগ্রাম এমইএস কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। পাশাপাশি চট্টগ্রাম শহরে বিয়ের অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন প্রোগ্রামে ফটোগ্রাফার হিসেবে কাজ করতেন। গত সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ভিকটিম শাওন বড়ুয়াকে চান্দগাঁও থানাধীন কাপ্তাই রাস্তার মাথা এলাকায় একটি গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে ফটোগ্রাফির কথা বলে আসামিরা। এরপর কৌশলে তাঁকে রাত ১০টার দিকে চান্দগাঁও থানাধীন অনন্যা আবাসিক এলাকায় নিয়ে যান তারা। এরপর আসামি মো. ইমতিয়াজ আলম মুরাদ (২১) ভিকটিমের সঙ্গে থাকা ক্যামেরার ব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় বাধা দেওয়ায় আসামি মুরাদ ভিকটিমের মাথায়, বুকে, পিঠে ও বাম পায়ের রানের অংশসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে ছুরিকাঘাত করেন। এরপর শাওনের সঙ্গে থাকা ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে তাঁরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান।
পঙ্কজ দত্ত আরও বলেন, গতকাল সকালে খবর পেয়ে পুলিশ শাওনের মরদেহ উদ্ধার করে। এরপর তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে ঘটনায় জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া ওই ব্যাগ উদ্ধার করে জব্দ করা হয়েছে। নিহত শাওন বড়ুয়া সাতকানিয়া থানার পুরানগড় ইউনিয়নের শীলঘাটা গ্রামের টিপু বড়ুয়ার ছেলে।