রিশাদ কি তবে এই সিরিজের প্রাপ্তি?
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সদ্য শেষ হওয়া টি-টোয়েন্টি সিরিজ বাংলাদেশ হেরেছে বটে, তবে লড়াই করেছে তিনটিতেই। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে তিন রানে হার, দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়ে আট উইকেটের জয় এবং সর্বশেষ ম্যাচে ২৮ রানের হার। ২-১ ব্যবধান সিরিজ খোয়ালেও সার্বিকভাবে সাহসী ক্রিকেট উপহার দিয়েছে বাংলাদেশ।
একটা সময় প্রতিপক্ষ দেড়শ পার করলেই মনে হতো বাংলাদেশ পারবে না, বা ব্যাটিংয়ে লাগামহীন রান নিতে থাকা দলের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারবে না বোলাররা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের অন্তত সেটি দেখা যায়নি। বিশেষত, তরুণ তুর্কি রিশাদ হোসেন সিরিজজুড়ে ছিলেন চমৎকার।
বাংলাদেশে একজন লেগ স্পিনারের অভাব বহুদিন ধরেই। এই সিরিজে ২১ বছর বয়সী রিশাদ অন্তত কিছুটা হলেও সেই আক্ষেপ মিটিয়েছেন। তিন ম্যাচে বল করেছেন মোট ১১ ওভার। ৮৮ রান দিয়ে নিয়েছেন তিন উইকেট। প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কা ২০৬ রান করে। সেই ম্যাচে চার ওভারে ৩২ রান দিয়ে এক উইকেট পান রিশাদ। পরের ম্যাচে উইকেট না পেলেও তিন ওভারে মাত্র ২১ রান দেন। শেষটিতে অবশ্য খরুচে ছিলেন। চার ওভারে ৩৫ রান দিলেও তুলে নেন দুই উইকেট।
মাঝের ওভারগুলোতে প্রতিপক্ষের রানের চাকা ধীর করতে রিশাদ দলের তুরুপের তাস হয়ে উঠছেন। সিরিজে ওভারপ্রতি গড়ে আট রান দিয়েছেন। এটি আধুনিক টি-টোয়েন্টিতে একদম খারাপ বলা চলে না। শেষ টি-টোয়েন্টিতে তিনি নিজের ব্যাটিং প্রতিভাও দেখিয়েছেন। লঙ্কানদের বিপক্ষে ৩২ রানে ছয় উইকেট হারানো বাংলাদেশকে যখন চোখ রাঙাচ্ছিল সবচেয়ে বড় হারের লজ্জা, সেখান থেকে প্রায় জয়ের আশা জাগিয়ে তোলেন রিশাদ। লোয়ার অর্ডারে নেমে ৩০ বলে সাতটি ছক্কায় ৫৩ রান করেন তিনি।
ম্যাচ শেষে রিশাদকে নিয়ে শনিবার (৯ মার্চ) বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বলেন, ‘পরিস্থিতি অনুযায়ী রিশাদ খুব ভালো বোলিং করেছে। ওর বলে সুইং আছে, অ্যাকশনও ভিন্ন। যেভাবে ব্যাটিং করেছে সেটি আমাদের জন্য বাড়তি পাওয়া ছিল। দরকার ছিল এটি। কারণ, আমরা এখন ছয়জন ব্যাটার নিয়ে খেলি। একজন বাড়তি অলরাউন্ডার যদি গড়ে ওঠে, তাহলে তা দলের জন্য ইতিবাচক।’