শান্তকে ফিরিয়ে প্রতিরোধ ভাঙল শ্রীলঙ্কা
ইনিংসের শুরুটা ছিল চরম হতাশার। দলীয় রানের খাতা খোলার আগেই বিদায় নেন লিটন দাস। সেই ধাক্কা সামলে অবশ্য দ্বিতীয় জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। ওপেনার সৌম্য সরকার ও ওয়ানডাউনে নামা নাজমুল হোসেন শান্ত মিলে এগিয়ে নেন বাংলাদেশকে। দলীয় রান ৭০ পার করে ছুটছিলেন দুই তারকা ব্যাটার। তখনই আঘাত হানেন লঙ্কান বোলার দিলশান মাদুশাঙ্কা। উইকেটের পেছনে কুশল মেন্ডিসের হাতে ধরা পড়ার আগে শান্ত করেন ৩৯ বলে ৪০ রান।
লিটনের বিদায়ে বাংলাদেশের নড়বড়ে শুরু
ব্যাট হাতে আবারও ব্যর্থ লিটন দাস। সিরিজের প্রথম ওয়ানডের মতো দ্বিতীয়টিতেও করে বসলেন একই ভুল। ইনিংসের শুরুতে প্রতিপক্ষকে উইকেট উপহার দিয়ে ফিরলেন ব্যর্থ হয়ে। তার বিদায়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে নড়বড়ে শুরু বাংলাদেশের।
চট্টগ্রামে বাংলাদেশের ইনিংসের তৃতীয় বলেই আউট হন লিটন। দিলশান মাদুশানকার পায়ের ওপর করা বলটি ফ্লিক করার চেষ্টায় স্কয়ার লেগে সহজ ক্যাচ দিয়ে বিদায় নিলেন ডানহাতি এ ওপেনার। আগের ম্যাচের মতো এবারও রানের খাতা খুলতে পারলেন না বাংলাদেশি ওপেনার।
সিরিজ জয়ের আশায় আগে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
প্রথম ওয়ানডে জিতে বাংলাদেশ শিবিরে বইছে স্বস্তির সুবাতাস। এবার দ্বিতীয়টি জিতলেই সিরিজ পকেটে। সেই সুযোগটা আজই কাজে লাগাতে চায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। সিরিজ জয়ের আশা নিয়ে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয়টি আজ শুক্রবার (১৫ মার্চ) শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ।
চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ম্যাচটিতে লঙ্কানদের বিপক্ষে টসে হেরে আগে নেমেছে বাংলাদেশ। উইকেটের সুবিধা কাজে লাগাতে বোলিং বেছে নিয়েছে লঙ্কানরা।
বাংলাদেশের শক্তির মূল জায়গা ওয়ানডে। এই ফরম্যাটে দীর্ঘদিন ধরেই করছে উন্নতি। আর তা যদি হয় ঘরের মাঠে, তাহলে কথাই নেই। তার সঙ্গে বাড়তি পাওনা চট্টগ্রামের উইকেট। বাংলাদেশের জন্য বরাবরই যা সৌভাগ্যের প্রতীক। প্রথম ম্যাচে যার প্রমাণ দিয়েছেন ক্রিকেটাররা। বোলিং, ব্যাটিং দুই বিভাগেই নিজেদের যোগ্যতার ছাপ রেখেছেন তারা।
স্পিন নির্ভরতা কমিয়ে পেসারদের দিকে গত থেকেই ঝুঁকেছে বাংলাদেশ। পেয়েছে ইতিবাচক ফলও। গত ১৩ মার্চ লঙ্কানদের ৫০ ওভারের আগেই অলআউট করে বাংলাদেশ, যাতে ১০ উইকেটের ৯টিই নেন পেসাররা। তিন পেসার শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ ও তানজিম সাকিব—প্রত্যেকেই পান তিনটি করে উইকেট। ব্যাট হাতে টপ অর্ডার ভেঙে পড়লেও অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত দলের দুই সিনিয়র ব্যাটার মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে সহজেই পাড়ি দেন জয়ের পথ।