মুখোমুখি লড়াইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এগিয়ে
টেস্ট আর ওয়ানডে ক্রিকেটে অনেক দিন ধরেই ব্যর্থতার বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে টি-টোয়েন্টিতে সফল বলতেই হবে ক্যারিবীয়দের। ২০১২ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়নদের সামনে আরেকটি শিরোপার হাতছানি আজ রাতে। কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে ইংল্যান্ড না ওয়েস্ট ইন্ডিজ—কার হাতে শিরোপা উঠবে, তা জানতে অপেক্ষা আর কয়েক ঘণ্টার। তবে ২০ ওভারের ক্রিকেটে মুখোমুখি লড়াইয়ের হিসাবে গেইল-স্যামিদের দল এগিয়ে আছে বড় ব্যবধানে।
আজকের আগে ১৩টি টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। এই ১৩ ম্যাচের ৯টিতেই জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ইংল্যান্ডের জয় মাত্র চারটি। বিশ্বকাপে তো ক্যারিবীয়দের একেবারে জয়জয়কার। টি-টোয়েন্টির সেরা প্রতিযোগিতায় চারটি লড়াইয়ের চারটিতেই বিজয়ীয় নাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
২০০৯ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় বিশ্বকাপে প্রথম দেখা হয়েছিল দুই দলের। সেবার স্বাগতিক ছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু ঘরের মাঠ ওভালে ব্যর্থতা সঙ্গী হয়েছিল তাদের। ডাকওয়ার্থ/লুইস পদ্ধতিতে ক্যারিবীয়রা জিতেছিল ৫ উইকেটে।
পরের বছর বিশ্বকাপের আয়োজক ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ঘরের মাঠে তারা ইংলিশদের মতো কোনো ভুল করেনি। তবে গায়ানাতেও স্বাগতিকদের জয়ের পেছনে ছিল বৃষ্টির ‘আশীর্বাদ’। প্রথমে ব্যাট করে ১৯১ রানের বড় সংগ্রহ গড়েও জিততে পারেনি ইংল্যান্ড। ইংল্যান্ডের ইনিংস শেষে বৃষ্টি নেমেছিল। বৃষ্টি থামলে ক্যারিবীয়দের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৬ ওভারে ৬০ রান। মাত্র দুই উইকেট হারিয়েই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় তারা।
২০১২ সালে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে আবার মুখোমুখি হয়েছিল ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পাল্লেকেলেতে জনসন চার্লসের ৫৬ বলে ৮৪ রানের ঝড়ো ইনিংসে ভর করে ক্যারিবীয়রা পেয়েছিল ১৫ রানের ঘামঝরানো জয়।
২০ ওভারের বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইংল্যান্ড-বধের সুখস্মৃতি একদমই টাটকা। গত ১৬ মার্চ মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ১৮২ রান করেও ইংল্যান্ড স্রেফ উড়ে গিয়েছিল গেইল-ঝড়ে। মাত্র ৪৮ বলে অপরাজিত ১০০ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে মরগান-রুটদের দলকে বলতে গেলে একাই হারিয়ে দিয়েছিলেন ক্রিস গেইল।
আজ ক্রিকেটের নন্দনকাননে ১৮ দিন আগের সেই জয় ওয়েস্ট ইন্ডিজকে অনুপ্রাণিত করবেই। আরেকটি তথ্যও ক্যারিবীয়দের জন্য যথেষ্ট অনুপ্রেরণাদায়ক। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে আগে কখনো দেখা হয়নি দুই দলের। তবে ওয়ানডে বিশ্বকাপে হয়েছিল। ১৯৭৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে ইংল্যান্ড তাদের প্রিয় লর্ডসে উড়ে গিয়েছিল এক ক্যারিবীয়-কিংবদন্তির ব্যাটের জাদুতে। সেদিন ভিভ রিচার্ডসের অপরাজিত ১৩৮ রানের এক দুর্দান্ত ইনিংসে ভর করে দ্বিতীয় বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দে মেতে উঠেছিল ক্লাইভ লয়েডের ওয়েস্ট ইন্ডিজ।