এইচএসসি পরীক্ষার দিনে কোচিংয়ের লোভ
ময়মনসিংহে শান্তিপূর্ণভাবে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরীক্ষা নির্বিঘ্ন করতে প্রতিটি কেন্দ্রে জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি-শিক্ষা ও আইসিটি) শারমিন জাহানকে আহ্বায়ক করে চারটি পরিদর্শকদল গঠন করে পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করা হয়। প্রতিটি কেন্দ্রে ১৪৪ ধারা জারির সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে রাখা হয়। তবে কেন্দ্রের বাইরে চলে কোচিং সেন্টারগুলোর ব্যবসা।
এইচএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে ময়মনসিংহের মুমিনুন্নেছা সরকারি মহিলা কলেজ ও সরকারি আনন্দমোহন কলেজ গেটে চলে কোচিং সেন্টারগুলোর লিফলেট বিতরণ। অভিভাবকদের বসার নাম করে লিফলেট, ব্রোশিয়ারসহ বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ করে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের প্রলুব্ধ করেছে কিছু কোচিং সেন্টার। এ ক্ষেত্রে এগিয়ে আছে ওমেকা/ওমেগা, ইপিপি ও মেডিকো নামের তিনটি কোচিং সেন্টার।
ছবি তোলার ফাঁকে এ বিষয়ে কথা বলার জন্য কোচিং সেন্টারের কাউকেই পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আনন্দমোহন সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক জাকির হোসেন বলেন, পরীক্ষা কেন্দ্রের পাশে এ ধরনের প্রচারণা অনৈতিক।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আরিফ আহমেদ খান বলেন, ‘কাজটি এডিসি (শিক্ষা) দেখভাল করছেন। ওনাকে বলেন।’
এডিসি জেনারেল (শিক্ষা ও আইসিটি) শারমিন জাহান বলেন, ‘পাবলিক ডিমান্ড থাকলে আমরা কী করব? পাবলিক কোচিং সেন্টার বাড়িতে চাইলে আমাদের করার কিছু নেই। এখন মূল বিষয় পরীক্ষা। অন্য সময় হলে দেখা যেত। এখন সময় নেই।’
ময়মনসিংহের ৬২টি কেন্দ্রে ৩৫ হাজার ৭০৬ জন পরীক্ষার্থী এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে এইচএসসি পরীক্ষায় ২৩ হাজার ৯০৯ জন, আলিমে চার হাজার ৩০৩ জন, ব্যবসায় ব্যবস্থাপনায় সাত হাজার ১৩ জন, ডিপ্লোমা ইন বিজনেস স্টাডিজে ৪২৪ জন ও ভোকেশনালে ১১১ পরীক্ষার্থী অংশ নেয়।