এবার মিরপুরে ৬৩০ টাকায় গরুর মাংস!
রাজধানীর মিরপুর-১১। এই এলাকার লালমাটিয়ায় টেম্পু স্ট্যান্ড বাজারে উজ্জ্বল গোস্ত বিতান। সেখানে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬৩০ টাকায় গরুর মাংস। রমজান মাস উপলক্ষে এই সুবিধা দিচ্ছেন উজ্জ্বল। যদিও কয়েক দিন আগে এই মাংস বিক্রি হতো কেজিপ্রতি ৫৯৫ টাকায়।
উজ্জ্বল গোস্ত বিতানের ব্যবস্থাপক হাসান এনটিভি অনলাইনকে জানান, প্রায় এক সপ্তাহ ধরে তারা অল্প লাভে মানুষের গরুর মাংসের চাহিদা পূরণের চেষ্টা করছেন।
দেখা গেছে, লালমাটিয়া টেম্পু স্ট্যান্ড বাজারে প্রতিদিনই জমছে ভিড়। লাইন ধরে মাংস কিনছেন ক্রেতারা। যদিও অন্যান্য মাংসের দোকানে ক্রেতা যেমন মাংস দেখে বুঝে পছন্দ করে কিনতে পারেন, তেমনটা এখানে হয় না। গরু জবাইয়ের পর কোটাবাছা করে থাকেন উজ্জ্বল মাংস বিতানের লোকজন। সেখানে গরুর রান, সিনা, কলিজা, হাড্ডিযুক্ত ও সলিড মাংস ভাজানো হয়। এরপর কেজি দরে বিক্রি করা হয়। ক্রেতারা স্বাভাবিক মাংসের দোকানের চেয়ে কম দামে এই মাংসতেই খুশি।
উজ্জ্বল জানান, এর আগে যে দামে বিক্রি হতো, নানা কারণে সেই দামে মাংস বিক্রি করা যাচ্ছে না। পরিবহণ খরচসহ নানা খরচ বৃদ্ধির কথা জানান তিনি। বলেন, ‘এক বারে দাম বাড়ালে ভোক্তার ক্ষতি হবে।’ তিনি বলেন, ‘সেবা যখন করছি, তখন আস্তে ধীরেই করি। বাড়ানোটা আস্তেধীরেই বাড়াই।’
এর আগে প্রতিদিন ৪০টি গরুর মাংস কেজিদরে ৫৯৫ টাকায় বিক্রি করছিলেন রাজধানীর শাহজাহানপুরের ব্যবসায়ী খলিল। এই কর্যক্রমের উদ্বোধন করেছিলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। যদিও এর কিছুদিন পর গত রোববার (২৪ মার্চ) ব্যক্তি পর্যায়ে সাশ্রয়ী মূল্যে গরুর মাংস বিক্রি বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিজি জানান, ৫৯৫ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করে খলিল-নয়নদের গুনতে হয়েছে লোকশান। এরপর খলিল কেজিপ্রতি দাম বাড়িয়ে দেন ১০০ টাকা। আর গতকাল একটি গণমাধ্যমকে খলিল বলেন, ‘যাদের জন্য এতকিছু করলাম, তারাই আজ পাশে নেই। আগামী ২০ রমজানের পর থেকে আর মাংস ব্যবসা করব না।’