বাঁশখালীতে গুলিবর্ষণের ঘটনায় গণসংহতি আন্দোলনের প্রতিবাদ
বাঁশখালীতে কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিরুদ্ধে আন্দোলন করা মানুষের ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে গণসংহতি আন্দোলন। অবিলম্বে হামলাকারী পুলিশ কর্মকর্তা, স্থানীয় প্রশাসন ও এস আলম কর্তৃপক্ষকে গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানিয়েছে গণসংহতি আন্দোলন।
আজ সোমবার গণসংহতি আন্দোলনের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়।
গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষে প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য আবদুস সালাম এক বিবৃতিতে বাঁশখালীতে এস আলম গোষ্ঠী কর্তৃক অবৈধভাবে কৃষিজমি দখল করে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের প্রতিবাদ করেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কৃষিজমি, অরণ্য ও পানিসম্পদ ধ্বংস করার পাঁয়তারার বিরুদ্ধে আন্দোলনরত স্থানীয় জনগণের ওপর আজ গুলিবর্ষণ করে বহু সংখ্যক মানুষকে খুন (পত্রিকার সংবাদ অনুযায়ী ৩ জন, স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি এই সংখ্যা আরো বেশি) এবং আরো বহু ব্যক্তিকে আহত করা হয়েছে।
বিবৃতিতে সংগঠনের নেতারা বলেন, ‘অবিলম্বে এই রকম সংবেদনশীল স্থানে কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্রের মতো পরিবেশধ্বংসী প্রকল্প বাদ দিতে হবে এবং দোষী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে শাস্তি দিতে হবে।’ নেতারা আরো বলেন, ‘বাঁশখালীর মানুষ বহুদিন ধরে এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসছেন। তাদের বিরুদ্ধে হামলা করা হয়েছে, তাদের মিছিলে গুলিবর্ষণ করা হয়েছে। ফলে এই পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রশাসন আগে থেকেই অবহিত ছিলেন। ফলে এই অবস্থার দায়দায়িত্ব পুলিশ, এস আলম পক্ষসহ সেখানকার জেলা প্রশাসক (ডিসি), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) নিতে হবে।
নেতারা বলেন, ‘বর্তমান সরকার জালিম রাজত্ব কায়েম করেছে। কিন্তু বাঁশখালীর মানুষ সরকার ও মাস্তান এই উভয় প্রকার নির্যাতনকে মোকাবিলা করে তাদের আন্দোলন জারি রেখে প্রমাণ করেছেন যে, বাংলাদেশের মানুষ এই জালিমদের নির্যাতন ও দখলদারিত্ব বিনা প্রতিবাদে মেনে নেবে না। ফুলবাড়ীর মানুষ যেমন রক্ত দিয়ে উন্মুক্ত কয়লাখনি প্রতিহত করে গোটা বাংলাদেশকে রক্ষা করেছেন ভয়াবহ বিপর্যয়ের হাত থেকে, তেমনিভাবেই বাঁশখালীর এই সংগ্রামী জনগণও গোটা বাংলাদেশের জন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।’ নেতারা এই সংগ্রামে অটল থেকে শহীদদের রক্তের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শনের আহ্বান জানান।