স্বৈরশাসক হিসেবে আ.লীগের নাম ইতিহাসে লেখা থাকবে : সালাম
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম বলেছেন, ২০০৯ থেকে শেখ হাসিনা এবং তার দল আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা সম্পূর্ণ কুক্ষিগত করে ফেলেছে। বাংলাদেশ রাষ্ট্র আর আওয়ামী লীগ নামের এই রাজনৈতিক দলটি তাদের কাছে সমার্থক, তারা মনে করে যে তাদের দল এবং রাষ্ট্রের মাঝে কোনও পার্থক্য নেই। তাদের বিশ্বাস এই রাষ্ট্রের ক্ষমতায় থাকাটা তাদের ঐতিহাসিক অধিকার। বাংলাদেশের জনগণ এত বড় স্বৈরশাসক আর কখনো দেখেনি। ইতিহাসের পাতায় সর্বশ্রেষ্ঠ স্বৈরশাসক হিসেবে আওয়ামী লীগের নাম লেখা থাকবে।
আজ সোমবার (১ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনের ভাসানী মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির জরুরি সভায় সভাপতির বক্তব্যে আব্দুস সালাম এসব কথা বলেন।
সালাম বলেন, মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের অবস্থা যেদিকে এগোচ্ছে তা নিয়ে বহির্বিশ্বের সরকারগুলোও প্রচণ্ড নিরাশ। হাসিনা এখন স্বৈরাচারী শাসক হিসেবে সারা পৃথিবীতে স্বীকৃত। এরা ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার জন্য মরিয়া।
আব্দুস সালাম বলেন, যখন একজন রাষ্ট্রপ্রধান মনে করেন যে সেই রাষ্ট্রের জনগণের জনমতের ভিত্তিতে নয় বরং অধিকারের বলে তিনি ক্ষমতায় আছেন এবং এই জোর করে টিকে থাকাকে তারা সবার বিরুদ্ধে একটা অস্তিত্বের লড়াইয়ে পরিণত করে, তখন সেই রাষ্ট্রে শোষণ-নিষ্পেষণ নিয়মিত হয়ে দাঁড়ায়।
রফিকুল আলম মজনু তার বক্তব্যে বলেন, আজ আমাদের যে লড়াই চলছে তা দেশ রক্ষার লড়াই। দেশবাসীর গণতন্ত্র ও বাকস্বাধীনতা ফিরিয়ে আনার লড়াই। এ লড়াইতে আমাদের জয়ী হতেই হবে। ফিরিয়ে আনতে হবে মানুষের অধিকার। একটি ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করে জয়লাভ করা কঠিন। এর জন্য আমাদের জীবনবাজি রাখতে হবে। রক্ত দিয়ে হলেও মানুষের হারিয়ে যাওয়া স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনতে হবে।
এতে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, যুগ্ম আহ্বায়ক ইউনুস মৃধা, আবদুস সাত্তার, হাজী মনির হোসেন, দপ্তরের দায়িত্বে কর্তব্যরত সাইদুর রহমান মিন্টু, সদস্য এম এ হান্নান, আরিফুর রহমান নাদিম, শেখ মোহাম্মদ আলী চায়না, লতিফুল্লাহ জাফরু, শামসুল হুদা কাজল, ওমর নবী বাবু, আবুল খায়ের লিটন, জামসেদুল আলম শ্যামল, আরিফা সুলতানা রুমা, নাদিয়া পাঠান পাপন, সাইফুল্লাহ খালেদ রাজন প্রমুখ।