চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার গণ্ডামারা এলাকায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ নিয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের সংঘর্ষে চারজন নিহত হওয়ার ঘটনায় তিনটি মামলা করা হয়েছে।

বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার জানান, এর মধ্যে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) বাহার মিয়া ৫৭ আসামির নাম উল্লেখ করে তিন হাজার অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এ ছাড়া নিহত আনোয়ার হোসেন ও মরতুজা আলীর ভাই মৌলভি শফি ছয়জনের নাম উল্লেখসহ ১৪শ-১৫শ অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির নামে এবং নিহত জাকের আহমেদের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে মামলা করেছেন।

এর আগে গতকাল সোমবার রাতেই এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মমিনুর রশিদকে ঘটনা তদন্ত করে আগামী সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক।

গতকাল বিকেলে উপজেলার গণ্ডামারা এলাকায় সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। এ সময় আহত হন সাত পুলিশ সদস্যসহ অর্ধশতাধিক এলাকাবাসী। সংঘর্ষে মৃতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। পুলিশ জানায়, এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণের জমি অধিগ্রহণকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এ প্রকল্পের বিরুদ্ধে স্থানীয় লোকজন দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছিলেন। এ নিয়ে কয়েক দিন ধরে বিদ্যুৎ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের সঙ্গে এলাকাবাসীর কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়েছে। এ সংঘর্ষের ঘটনায় এলাকাবাসীকে আসামি করে বাঁশখালী থানায় চারটি মামলা করা হয়। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে এলাকার লোকজন।

গণ্ডামারা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ফেরদৌস আহমেদ জানান, মামলা ও জমি অধিগ্রহণের প্রতিবাদে সমাবেশের আয়োজন করে গণ্ডামারা এলাকাবাসী। এ সময় বিদ্যুৎ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের লোকজনের সঙ্গে এলাকাবাসী ও পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষ ঘটে। এতে চারজনের মৃত্যু হয়েছে।