চার শিশু হত্যা : বাগালসহ আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র
হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার সুন্দ্রাটিকি গ্রামে চার শিশুকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। এতে পঞ্চায়েতপ্রধান আবদুল আলী বাগাল ও তার তিন ছেলের নাম রয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুক্তাদির হোসেন হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাউছার আলমের আদালতে এ অভিযোগপত্র জমা দেন।
অভিযোগপত্র দাখিলের পর দুপুর ১টায় হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শহীদুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে জানান, গ্রাম্য পঞ্চায়েত নিয়ে বিরোধের জের ধরেই পঞ্চায়েতের সর্দার আবদুল আলী বাগাল প্রতিপক্ষের চার শিশুকে নির্মমভাবে হত্যা করে। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী আবদুল আলী বাগালের নির্দেশে অন্য আসামিরা গত ১২ ফেব্রুয়ারি বিকেলে চার শিশুকে অপহরণ করে চেতনানাশক খাইয়ে অজ্ঞান করে। পরে তাদের নিয়ে যাওয়া হয় আবদুল আলী বাগালের লেবুবাগানে। সেখানে গভীর রাতে শিশুদের গলা টিপে হত্যা করে লাশ করাঙ্গী নদীর পাশে বালুচাপা দেয় আসামিরা।
মামলার আসামিরা হলো—আবদুল আলী বাগাল, তার তিন ছেলে জুয়েল, রুবেল ও বিল্লাল, হাবিবুর রহমান আরজু, শাহেদ ওরফে ছায়েদ, বাবুল ও উস্তার। তাদের মধ্যে বিল্লাল, বাবুল ও উস্তার পলাতক।
মামলায় সিএনজি অটোরিকশাচালক বাচ্চু মিয়াকে অভিযুক্ত করা হয়। কিন্তু র্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে বাচ্চু নিহত হওয়ায় অভিযোগপত্র থেকে তার নাম বাদ দেওয়া হয়।
পুলিশ জানায়, মোট ৫৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে ৩২ কার্যদিবসে তদন্ত সম্পন্ন করা হয়।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি বিকেলে হবিগঞ্জের বাহুবল থেকে চার শিশু নিখোঁজ হয়। নিখোজের পাঁচ দিন পর বুধবার দুপুরে বাড়ির অদূরে বালিমাটিতে পুঁতে রাখা অবস্থায় তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত শিশুরা হলো সুন্দ্রাটিকি গ্রামের মো. ওয়াহিদ মিয়ার ছেলে স্থানীয় সুন্দ্রাটিকি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র জাকারিয়া আহমেদ শুভ (৮), তার দুই চাচাতো ভাই আবদুল আজিজের ছেলে একই বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র তাজেল মিয়া (১০) ও আবদাল মিয়ার ছেলে একই বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্র মনির মিয়া (৭) এবং তাদের প্রতিবেশী আবদুল কাদিরের ছেলে সুন্দ্রাটিকি মাদ্রাসার ছাত্র ইসমাঈল হোসেন (১০)।