হামাসকে চুক্তিতে রাজি করাতে মিসর-কাতারের প্রতি বাইডেনের আহ্বান
ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসকে ইসরায়েলের সঙ্গে চুক্তিতে পৌঁছাতে রাজি করানোর জন্য মিসর ও কাতারের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। দুপক্ষকে যুদ্ধবিরতি ও সমঝোতায় পৌঁছাতে কায়রোতে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে এই আহ্বান জানানো হয়েছে বলে মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। খবর এএফপির।
গাজা উপত্যকায় সাময়িকভাবে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছাতে এবং হামাসের হাতে আটক পণবন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগার থেকে ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তির বিষয়ে আলোচনায় নেপথ্যে থেকে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতার।
হোয়াইট হাউসের দেওয়া তথ্য অনুসারে, এ সপ্তাহে কায়রোতে আলোচনা শুরুর কথা থাকলেও এতে সিআইএ পরিচালক বিল বার্নস, মোসাদ প্রধান ডেভিড বার্নেয়া, কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল থানি ও মিসরের গোয়েন্দা প্রধান আব্বাস কামেল যোগ দেবেন কিনা, সে সম্পর্কে নিশ্চিতভাবে কিছু জানা যায়নি।
বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে টেলিফোন আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ‘গত ছয় মাস ধরে হামাসের হাতে আটক মার্কিন নাগরিকসহ ইসরায়েলি পণবন্দিদের মুক্তির জন্য সবকিছু করতে হবে।’ বাইডেন প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই তথ্য দিয়েছেন। ওই কর্মকর্তা আরও জানান, শুক্রবার জো বাইডেন তার পাঠানো চিঠিতে মিসরের প্রেসিডেন্ট ও কাতারের আমিরের প্রতি একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে ও তা মেনে চলতে হামাসকে রাজি করানোর আহ্বান জানান।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি এর আগে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, নেতানিয়াহুর সঙ্গে জো বাইডেনের আলোচনায় প্রাধান্য পেয়েছে পণবন্দিদের মুক্তির বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষর এবং মধ্যস্থতাকারীদের আলোচনার ইতি টানতে।
মার্কিন কর্মকর্তারা শুক্রবার সন্ধ্যায় জানান, কয়েকটি বিষয় এখন সামনে রয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো হামাস পণবন্দিদের মধ্য থেকে যারা অসুস্থ, আহত, বয়োজ্যেষ্ঠ বা নারী তাদের মুক্তির বিষয়ে রাজি আছে কিনা।
গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস এক নজীরবিহীন হামলা চালায় ইসরায়েলের অভ্যন্তরে। এই হামলায় বিদেশি ও ইসরায়েলের নাগরিকসহ নিহত হয় এক হাজার ১৭০ জন, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক। এ ছাড়া হামাস ২৫০ জন ইসরায়েলিকে অপহরণ করে নিয়ে আসে গাজায়। এদের মধ্যে ১৩০ জন এখনও গাজায় আটক রয়েছে।
অন্যদিকে, ইসরায়েলের পাল্টা হামলায় গাজা উপত্যকায় ৩০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়। এদের বেশিরভাগই নিরীহ শিশু ও নারী। হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য দিয়েছে।