নতুন টাকার নোটে ভাসবে ঈদ আনন্দ
কড়া নাড়ছে ঈদুল ফিতর। নাড়ির টানে গ্রামে ছুটছেন মানুষ। ঈদ আনন্দকে আরও প্রাণোবন্ত করে তোলে কচকচে নতুন টাকা। তাইতো ভিড় বাড়ছে পসরা সাজানো রাজধানীর খোলাবাজারের নতুন টাকার অস্থায়ী দোকানগুলোতে। এখানে পাওয়া যাচ্ছে ২, ৫, ১০, ২০, ৫০, ১০০, ২০০, ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নতুন নোট। তবে এই নতুন নোট পেতে গুণছে হচ্ছে অতিরিক্ত অর্থ। ১০, ২০, ৫০ ও ১০০ টাকার নতুন নোট বান্ডেলে চাহিদা বেশি। পেতেও গুণতে হচ্ছে বেশি অর্থ। সেই হিসেবে ২০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকার নতুন নোট কিনতে কিছুটা কম গুণতে হচ্ছে ক্রেতাদের।
আজ রোববার (৭ এপ্রিল) রাজধানীর মতিঝিল ও গুলিস্তান ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। ব্যাংকে নতুন টাকা না পেয়ে সহজ পন্থা হিসেবে ক্রেতারা বেছে নিয়েছেন ফুটপাতের নতুন নোটের দোকানগুলো। প্রতি বছরের তুলনায় এবছর টাকার ব্যবসায়ীরা চড়া দামে নতুন টাকার বিনিময় করছে অভিযোগ ক্রেতাদের। কিন্তু ব্যবসায়ীরা বলছেন, বেশি দিয়ে নতুন টাকার বান্ডেল কেনা হচ্ছে। তবে সে হিসেবে সামান্য লাভ পেলে বিক্রি করছেন নতুন টাকা। আরও বলেন, এবারে চাহিদার তুলনায় নতুন নোটের সরবরাহ কম।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, ঈদকে কেন্দ্র করে প্রতি বছর যে পরিমাণ নতুন নোট সরবরাহ করা হয় চলতি বছর সে তুলনায় অনেক কম নোট ছাপানো হয়েছে। তবে কী পরিমাণ নতুন নোট ছাপানো হয়েছে জানতে চাইলে সেই তথ্য দিতে পারেনি কেউ।
নতুন নোট পেতে গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার দুই ব্যাংকে খোঁজ করা হয়, কিন্তু সেখানে পাওয়া যায়নি অভিযোগ করে নতুন টাকার নোট কিনতে আসা শিক্ষক ওয়াহিদ মাসুদ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, প্রায় সবাই ঈদের দিন সেলামি হিসেবে প্রত্যাশা করে নতুন টাকার নোট। তাই ঈদের আনন্দ দিকে তাকিয়ে বাধ্য হয়েই আজ গুলিস্তানে এসেছি নতুন নোট কিনতে। ইতোমধ্যে পঞ্চাশ টাকা নতুন একটা বান্ডেল (এক বান্ডেলে থাকে একশ নতুন নোট) কিনেছি। এজন্য আমাকে অতিরিক্ত ২২০ টাকা দিয়ে কিনতে হয়েছে। আর ২০ টাকার একটা বান্ডেলে কিনতে অতিরিক্ত গুণতে হয়েছে ১৩০ টাকা।
ঈদের দিনের হাসি-খুশি বহুগুণ বাড়িয়ে দেয় নতুন টাকা জানিয়ে ব্যবসায়ী জামসেদ হাওলাদার বলেন, নতুন নোট চেয়েছি কিন্তু ব্যাংক কর্মকর্তারা পুরানো নোট দিয়েছে। তারা বলেছে ব্যাংকে নতুন টাকা নেই। সামনে ঈদ। ঘরে-পরিবারের সবার চাওয়া নতুন টাকার নোট। তাই মতিঝিলে কিনতে আসা। ইতোমধ্যে একশ টাকার পাঁচটি ও পঞ্চাশ টাকার আটটি বান্ডেল কিনেছি। এসব কিনতে আমাকে অতিরিক্ত ৩১০০ টাকা গুণতে দিতে হয়েছে।
প্রতিবারের মতো এবারেও মা বাবার সাথে ঈদ করতে গ্রামে যাচ্ছি জানিয়ে ডাক্তার হোসাইন হাসনাত বলেন, গ্রামের আত্মীয়দের জন্য নতুন টাকার নোট কিনতে এসেছি। সরকার গত ৩১ মার্চ থেকে ঢাকার বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের ৮০টি শাখায় মাধ্যমে নতুন টাকার নোট সমপরিমাণ অর্থ বিনিময় করছে জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার নতুন নোট ঠিকেই দিচ্ছে। কিন্তু আমরা ব্যাংকে গেলে পাই না। এটার একটা তদন্ত হওয়া উচিৎ। মতিঝিলে নতুন টাকা নিতে আসা আবিদ বলেন, ফুটপাতে নতুন নোটের রমরমা ব্যবসা। কিন্তু ব্যাংকে গিয়ে নতুন নোট পাচ্ছি না।