ফাঁকা রাজধানীতে মেট্রোরেলে সুনসান নীরবতা!
ঈদুল ফিতরের ছুটিতে সারা দেশ, ফাঁকা হয়ে গেছে রাজধানী। নেই চিরচেনা যানজট, মানুষের ভিড়। সেই প্রভাব পড়েছে মেট্রোরেলেও। একদিন আগেও যে মেট্রোতে মানুষের উপচে পড়া ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। সেই মেট্রোরেলে এখন সুনসান নীরবতা।
আজ বুধবার (১০ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর সচিবালয়, শাহবাগ, কারওয়ান বাজার মেট্রোরেল স্টেশনে দেখা যায়, স্টেশনের কাউন্টারগুলোতে মানুষের লম্বা কোনো লাইন নেই। অনেকটা ফাঁকা স্টেশনগুলো। মেট্রোরেলে যাত্রী সংকট। কোনো কোনো বগি পুরোটাই ফাঁকা। কিছু বগিতে হাতেগোনা কয়েকজন। কোনোটি আবার কখনো ফাঁকা, কখনো কোনোটির সামনে দু-চারজনকে দেখা গেছে। স্বাভাবিকভাবে ট্রেনও ছিল অনেকটাই ফাঁকা। এ সময় টিকিট বিক্রির কাউন্টারও ছিল ফাঁকা।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন রবিউল হাসান বলেন, ‘আমি সকাল সাড়ে ৯টায় স্টেশনে আসি। স্টেশনে যাত্রীর কোনো ভিড় ছিল না। এখনও যাত্রীর ভিড় দেখছি না।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেশনের যাত্রী শফিক আহমেদ বলেন, ‘আমি আগারগাঁও থেকে উত্তরা দিয়াবাড়ি যাব। আজকে এখানে ভিড় নেই বললেই চলে। আমি এসেই সরাসরি টিকিট কাউন্টারে চলে গেছি। টিকিটের জন্য লাইনে দাঁড়াতে হয়নি। আজকে ভিড় নেই বললেই চলে।’
রোভার স্কাউট সদস্য শিহাবুর রহমান বলেন, ‘অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ যাত্রী নেই।’
এদিকে ঈদ উপলক্ষে টানা দুই দিন বন্ধ থাকছে মেট্রোরেল চলাচল। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। আর শুক্রবার মেট্রোরেলের সাপ্তাহিক ছুটি। ফলে টানা দুই দিন মেট্রোরেল বন্ধ থাকবে। ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) উপব্যবস্থাপক নাজমুল ইসলাম ভূঁইয়া গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
গত ঈদেও মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ ছিল জানিয়ে নাজমুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘ঈদের দিন মেট্রোরেল বন্ধ থাকবে, এটা আগে থেকেই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার ঈদের দিন বন্ধ। শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন। এতে করে দুই দিন বন্ধ থাকবে। এর বাইরে সময়সূচি মেনেই চলবে মেট্রোরেল।’
জানা যায়, রমজানের প্রথমার্ধে প্রতিদিন গড়ে মেট্রোরেলে দুই লাখ ৪৬ হাজার যাত্রী চলাচল করেছে। রমজানের আগে সংখ্যাটা ছিল দুই লাখ ৯৫ হাজারের মতো। ১৬ রমজান থেকে মেট্রোরেলের চলাচল এক ঘণ্টা বাড়ানোর পর যাত্রী আরও বেড়েছে। গত পাঁচ দিনে গড়ে দুই লাখ ৯০ হাজার করে যাত্রী চলাচল করেছে।