ইসরায়েলে হামলার উদ্দেশ পূরণ হয়েছে : ইরানি সেনাবাহিনী
সিরিয়ার দামেস্কে ইরানি দূতাবাসে হামলার প্রতিশোধ নিতে ইরান ইসরায়েলে আজ রোববার (১৪ এপ্রিল) যে নজিরবিহীন ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে তাতে তাদের সব উদ্দেশ্য পূরণ হয়েছে বলে জানিয়েছে ইরানি সেনাবাহিনী। খবর এএফপির।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ মোহাম্মাদ বাঘেরি বলেন, “গতকাল রাত থেকে আজ সকাল নাগাদ পরিচালিত ‘অপারেশন অনেস্ট প্রমিস’ পুরোপুরি সফল হয়েছে এবং আমাদের অভিযানের সব উদ্দেশ্যই পূরণ হয়েছে।”
ইরান বলেছে, ১ এপ্রিল দামেস্কে ইরানি কূটনৈতিক মিশনে হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ‘আত্মরক্ষা’র জন্য তারা ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছে। আগে থেকেই দূতাবাসে হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করে আসছিল ইরান। ওই বিমান হামলায় সিরিয়ার রাজধানীতে ইরানের পাঁচতলা কূটনৈতিক ভবন গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এতে ইরানি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর পাঁচ সদস্য নিহত হয়, যাদের মধ্যে দুজন জেনারেল পদমর্যাদার কর্মকর্তাও ছিলেন।
মোহাম্মাদ বাঘেরি বলেন, প্রতিশোধমূলক হামলায় ইসরায়েলের গোয়েন্দা লক্ষ্যবস্তু ও একটি বিমান ঘাঁটিতে আঘাত হানা হয়। ইরান জানিয়েছে, ওই ঘাঁটি থেকে ইসরায়েলি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান দামেস্কে ইরানি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করে।
বাঘেরি বলেন, ‘এই দুটি কেন্দ্রই উল্লেখযোগ্যভাবে ধ্বংস হয়েছে এবং সেগুলো ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। আমাদের মতামত অনুসারে অভিযান শেষ হয়েছে এবং আমরা তা দেখতেও পাচ্ছি।’ তবে ইসরায়েল জানিয়েছে হামলায় অবকাঠামোগুলোর সামান্য ক্ষতি হয়েছে।
বাঘেরি আরও বলেন, ‘এই অভিযান চালিয়ে যাওয়ার কোনো উদ্দেশ্য আমাদের নেই।’ তিনি এ বিষয়ে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ইসরায়েল যদি ইরানে কোনো হামলা চালায় তবে সেটির ‘অনেক বড়’ জবাব দেওয়া হবে।
ইরানি সেনাপ্রধান মোহাম্মাদ বাঘেরি ইসরায়েলকে সহায়তার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘আমরা সুইস দূতাবাসের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রকে একটি বার্তা দিয়েছি–পরবর্তীতে কোনো তৎপরতায় ইসরায়েলকে তারা সহযোগিতা করলে তাদের বিমান ঘাঁটিগুলো নিরাপদ থাকবে না।’
ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর প্রধান হোসেইন সালামি এই ‘সীমিত অভিযান’কে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি এই হামলাকে ‘আশাতীত সফল’ হিসেবেও উল্লেখ করেন।