একপেশে ম্যাচে গুজরাটকে অনায়াসে হারাল দিল্লি
দিল্লি ক্যাপিটালসের সামনে লক্ষ্যটা ছিল একেবারে মামুলি। সেটি তাড়া করতে নেমে ঝড়ের গতিতে ব্যাট করেছে দলটি। গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে পেয়েছে সহজ জয়ের দেখা। আইপিএলে দিনের একমাত্র ম্যাচে আজ বুধবার (১৭ এপ্রিল) দিল্লি মুখোমুখি হয়েছে গুজরাটের। বোলিং তাণ্ডবের পর ব্যাট হাতেও গুজরাটকে কোনো সুযোগ না দিয়ে ছয় উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে দিল্লি।
আগে ব্যাট করে ১৭.৩ ওভারে গুজরাট অলআউট হয় মাত্র ৮৯ রানে। জবাবে মাত্র ৮.৫ ওভারে চার উইকেট হারিয়ে ৯২ রান করে দিল্লি।
৯০ রানের লক্ষ্যে রয়েসয়ে খেলেনি ঋষভ পন্তের দল। শুরু থেকেই বরং আগ্রাসী ছিল তারা। দুই ওভারেই স্কোরবোর্ডে জমা করে ২৫ রান। দিল্লি ওপেনার জ্যাক ফ্রেসারকে ফেরান স্পেন্সার জনসন। জ্যাকের ব্যাট থেকে আসে ১০ বলে ২০ রান। অপর ওপেনার পৃথ্বি শ অবশ্য মাত্র সাত রান করে সাজঘরে ফেরেন।
এরপর ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে নামা দিল্লির অভিষেক পরেল সাত বলে ১৫ রান করে আরেকটু এগিয়ে নেন দলকে। ১০ বলে ১৯ রান করে শাই হোপ বিদায় নেন রশিদ খানের বলে। ৬৭ রানের দিল্লির চার উইকেট তুলে নেয় গুজরাট। যদিও, ম্যাচ জমাতে পারেননি গুজরাটের বোলাররা। শেষ পর্যন্ত পন্তের ১১ বলে অপরাজিত ১৬ রান দিল্লিকে পৌঁছে দেয় জয়ের বন্দরে।
গুজরাটের পক্ষে সন্দ্বীপ ওয়ারিয়র নেন দুই উইকেট।
এর আগে টস জিতে বোলিং বেছে নেন দিল্লি অধিনায়ক পন্ত। তার সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করেছেন বোলাররা। দ্বিতীয় ওভারেই দিল্লি তুলে নেয় গিলের উইকেট। গুজরাট অধিনায়ক আট রান করে ইশান্ত শর্মার শিকারে পরিণত হন। ১১ রানে প্রথম উইকেট হারানো গুজরাট আরেক ওপেনার ঋদ্ধিমান সাহাকে হারায় ২৮ রানে। ১০ বলে দুই রান করে মুকেশ কুমারের বলে বোল্ড হন সাহা।
দুই ওপেনারকে হারানোর পর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি গুজরাট। নিয়মিত বিরতিতে হারাতে থাকে উইকেট। সেই সুযোগে চেপে বসেন দিল্লির বোলাররাও। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার সাই সুদর্শন পারেননি কোনো প্রভাব ফেলতে। ৯ বলে ১২ রান করে কাটা পড়েন রানআউটে। ডেভিড মিলারের ওপর চোখ ছিল গুজরাটের। দক্ষিণ আফ্রিকান হার্ডহিটার ব্যাটার ছয় বল খেলে মাত্র দুই রান করে বিদায় নেন।
৪৭ রানে পাঁচ উইকেট হারানো গুজরাটকে টেনে নেন রশিদ খান। ২৪ বলে ৩১ রান করেন তিনি। দলের পক্ষে এটিই সর্বোচ্চ। নবম ব্যাটার হিসেবে রশিদ আউট হলে ভেস্তে যায় শতরানের সম্ভাবনা। গুজরাট থামে ৮৯ রানে।
দিল্লির পক্ষে তিন উইকেট নেন মুকেশ। দুটি করে পান ইশান্ত ও স্টাবস।