এস কে সিনহার বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ২৬ জুন
ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাজউকের প্লট বরাদ্দ ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার (এস কে সিনহা) বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়ে আগামী ২৬ জুন ধার্য করেছেন আদালত।
আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এই আদেশ দেন। এদিন মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন দুদক প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি। এজন্য বিচারক পরবর্তী প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন করে এই তারিখ ধার্য করেন।
নথি থেকে জানা গেছে, দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার বাদী হয়ে ২০২১ সালের ১০ অক্টোবর মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, অবৈধ উপায়ে সম্পদ অর্জন ও তা বিভিন্ন ব্যক্তির হিসাবের মাধ্যমে স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তর করে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারা ও ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২), (৩) ধারায়। মামলায় সাত কোটি ১৪ লাখ পাঁচ হাজার ৮৬৫ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এজাহার সূত্রে আরও জানা যায়, এসকে সিনহা ভাইয়ের নামে অবৈধভাবে বরাদ্দ নেওয়া পূর্বাচলের প্লটটি ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে পূর্বাচল থেকে উত্তরার সেক্টর-৪ এ স্থানান্তর করেন। পরবর্তী সময়ে রাজউক থেকে অনুমোদনও করান। আর প্লটের যাবতীয় অর্থ মোট ৭৫ লাখ টাকা নিজেই পরিশোধ করেন। পরে ওই প্লটে ৯তলা ভবন নির্মাণ করেন। দুদকের অনুসন্ধানকালে নিরপেক্ষ প্রকৌশলীর প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, উত্তরা আবাসিক এলাকায় ভবনের নির্মাণে ব্যয় হয় ছয় কোটি ৩১ লাখ পাঁচ হাজার ৮৬৫ টাকা। এ ছাড়া প্লটের মূল্য হিসেবে রাজউককে পরিশোধ করা হয় ৭৫ লাখ টাকা।