চেন্নাইয়ের হারে মুস্তাফিজের দোষ দেখেন না সুজন
লখনৌর বিপক্ষে ম্যাচে দলকে জেতানোর সুযোগ পেয়েও হাতছাড়া করেন পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। শেষ ওভারের যেখানে জয়ের জন্য লখনৌর প্রয়োজন ছিল ১৭ রান, সেখানে প্রথম তিন বলে ১৯ রান দিয়ে চেন্নাইকে হতাশায় ডোবান এই বাঁহাতি পেসার। এদিন বল হাতে চার ওভারে দেন ৫১ রান। মুস্তাফিজের এমন খরুচে বোলিংয়ের পরও মুস্তাফিজের পাশে দাঁড়ালেন সাবেক ক্রিকেটার ও বিসিবি পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন।
গতকাল বুধবার (২৪ এপ্রিল) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মুস্তাফিজ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘খেলোয়াড় বাদ দেন সাধারণ মানুষের জীবনেই উত্থান-পতন থাকে। এটা খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। মুস্তাফিজ একজন প্রমাণিত আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়। ভালো করবে খারাপ করবে এ রকম সময় আসবেই। তাকে আমাদের সমর্থন করতে হবে। মুস্তাফিজ একা ম্যাচ জেতাবে তাহলে তো বাংলাদেশের আর কোনো পেসারের দরকার ছিল না, মুস্তাফিজ খেললেই হতো।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘অবশ্যই দল হিসেবে খেললে একদিন মুস্তাফিজের খারাপ দিন যাবে কিংবা তাসকিন-শরিফুলের যাবে। কিন্তু দল হিসেবে যখন আমরা ম্যাচ জিতব তখন ওই খারাপটাকে খারাপ বলা যাবে না। মুস্তাফিজকে সবাই দোষ দিলেও আমি কোনোভাবেই দিই না। এটা খেলার অংশ। তখন স্টয়নিস যেভাবে মারছিল স্বাভাবিকভাবেই তখন যেকোনো বোলারের ক্ষেত্রেই সেটা ঘটতে পারত। মোস্তাফিজ যে ম্যাচগুলো জিতিয়েছে, সে সব দারুণ ছিল সেটাও মানতে হবে। সে রকম খেলোয়াড়দের ভালো-খারাপ দিন থাকবেই। উইকেটের সঙ্গে হয়তো সে মানিয়ে নিতে পারেনি। বলটা হয়তো গ্রিপ করতে পারেনি। এটা হতেই পারে।’
মুস্তাফিজের প্রশংসা করে সুজন আরও যোগ করেন, ‘যখন উইকেট ফ্ল্যাট থাকবে তখন তার সেরা বলটা কী হওয়া উচিত সেটা ভাবতে হবে। যে উইকেটে বল গ্রিপ করবে সেখানে মুস্তাফিজ ভয়ংকর বোলার। তার মতো ভয়ংকর বোলার আর তখন কেউ নেই। কিন্তু যখন উইকেট বেশি ফ্ল্যাট হয়ে যাবে তখনো ওকে সেটা এখন থেকেই... নিশ্চয়ই সে চিন্তা করে ওর কিছু আছে। এসবে তার মনোযোগী হতে হবে। আমি অবশ্য তাকে নিয়ে চিন্তিত নই।’
এদিকে, আইপিএলে চেন্নাইয়ের জার্সিতে আর দুটি ম্যাচে খেলার সুযোগ পাবেন মুস্তাফিজ। জিম্বাবুয়ে সিরিজে অংশ নিতে আগামী ২ মে দেশে ফিরবেন তিনি। আসন্ন পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম তিনটি ম্যাচ হবে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। বাকি দুটি হবে মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। আগামী ৩ মে শুরু হবে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ।