সেনা কর্মকর্তা, তনুর দুই বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদ
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী সোহাগী জাহান তনু হত্যার ঘটনায় তাঁর দুই বন্ধু ও এক সেনা কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদস্যরা।
যে তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, তাঁরা হলেন—তনুর দুই বন্ধু রাব্বী ও মুরাদ এবং কুমিল্লা সেনানিবাসের ক্যান্টনমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর অফিসার (সিএও) মনিরুল ইসলাম।
আজ শনিবার সকাল ৯টা থেকে সিএও মনিরুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে সিআইডি। এর আগে গতকাল শুক্রবার রাতে রাব্বী ও মুরাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
তনু হত্যার তদন্তের দায়িত্বে থাকা সিআইডির এ দল গত বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে কুমিল্লায় গেছে।
এ বিষয়ে সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) জালাল উদ্দিন আহমেদ জানান, সিআইডি দল তনুর ঘনিষ্ঠ বন্ধু কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার লক্ষণপুরের রাব্বী ও কুমিল্লা সেনানিবাসের ১৯ নম্বর গেটের পাহাড়ার দায়িত্বে থাকা মুরাদকে গতকাল শুক্রবার রাত থেকে পালাক্রমে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রেখেছে। আজও তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
তনু হত্যার তদন্তের দায়িত্বে থাকা সিআইডর এ সদস্য আরো জানান, গত ২০ মার্চ রাত ৯টা থেকে ২১ মার্চ সকাল ৯টা পর্ষন্ত কুমিল্লা সেনানিবাসে সব গেটের প্রবেশ ও বাহির হওয়া রেজিস্ট্রার বুক তলব করেছে সিআইডির দলটি।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার ও তনু হত্যা মামলা তদন্ত সহায়ক কমিটির প্রধান আবদুল কাহ্হার আকন্দের নেতৃত্বে সাত সদস্যের দলটি কুমিল্লায় যায়। সেদিন রাতে দলটি সেনা নিবাসের পাঁচ সেনা সদস্যকে কুমিল্লা সিআইডির কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরের দিন শুক্রবার ওই সেনা কর্মকর্তাসহ তনুর পরিবারের পাঁচ সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিআইডি।
এ বিষয়ে গতকাল দুপুরে সিআইডির কুমিল্লা অঞ্চলের বিশেষ পুলিশ সুপার ড. নাজমুল করিম খান সাংবাদিকদের জানান, জিজ্ঞাসাবাদে তনু হত্যার দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে তনুর লাশ পাওয়ার সময় পর্যন্ত ওই সড়কে কারা, কখন, কীভাবে দায়িত্বে ছিলেন, সে বিষয়টি সম্পর্কে ধারণা নেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। আরো অনেককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।