লজ্জা এড়িয়ে মান বাঁচানো সংগ্রহ জিম্বাবুয়ের
বিশ্বকাপের আগে জিম্বাবুয়ে সিরিজকে ধরা হচ্ছে প্রস্তুতির বড় মঞ্চ হিসেবে। বিশ্বমঞ্চে যেখানে বেশিরভাগ ম্যাচই হবে হাইস্কোরিং, সেখানে লো স্কোরিং ম্যাচ খেলে প্রস্তুতি সারতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। প্রথম টি-টোয়েন্টির পর দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও ব্যাটারদের ব্যর্থতায় লড়াকু সংগ্রহ গড়তে পারেনি জিম্বাবুয়ে। তবে শুরুতে যেভাবে মুখ থুবড়ে পড়েছিল তাদের ব্যাটিং সেই হিসেবে শেষ পর্যন্ত মান বাঁচাতে পেরেছে অতিথিরা।
আজ রোববার (৫ মে) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ২০ ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১৩৮ রান তোলে জিম্বাবুয়ে। ব্যাট হাতে ২৪ বলে সর্বোচ্চ ৪৫ রান করেন ব্যাটার জোনাথন ক্যাম্পবেল।
ব্যাটিংয়ে জিম্বাবুয়ের শুরুটা হয় রয়েসয়ে। প্রথম চার ওভারে স্কোরবোর্ডে মাত্র ১৫ রান তোলে সফরকারীরা। অবশ্য দেশেশুনে ব্যাটিং করেও উইকেট বাঁচাতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। দলীয় ১৫ রানের মাথায় তাসকিন আহমেদের বলে তাদিওয়ানশে মারুমানি এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফেরেন। ৪ বলে ২ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি।
প্রথম উইকেটের পর দ্বিতীয় উইকেট হারাতেও সময় লাগেনি জিম্বাবুয়ের। দলীয় ৩০ রানের মাথায় সাইফউদ্দিনের বলে শান্তর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন জয়লর্ড গাম্বি। ৩০ বলে ১৭ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। এরপর মাত্র ১২ রানের ব্যবধানে আরও দুই ব্যাটারকে হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে সফরকারীরা।
ব্রায়ান বেনেট ও জোনাথন ক্যাম্পবেলের ব্যাটে চড়ে সেই চাপ সামাল দেয় সিকান্দার রাজার দল। দলীয় ১১৫ রানের মাথায় ক্যাম্পবেলের বিদায়ে ষষ্ঠ উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। আউটের আগে খেলেন ২৪ বলে ৪৫ রানের ঝড়ো ইনিংস। শেষদিকে বেনেটের দৃঢ়তায় স্কোরবোর্ডে ১৩৮ রান তোলে সফরকারীরা। বাংলাদেশের হয়ে তাসকিন ও রিশাদ ২টি করে উইকেট নিয়েছেন।