জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের কষ্টার্জিত জয়
তাসকিন-রিশাদদের দাপুটে বোলিংয়ে ১৩৮ রানেই গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। মামুলি এই লক্ষ্য অনায়াসেই পেরিয়ে যাওয়ার কথা স্বাগতিকদের। যদিও তেমনটা হয়নি আদতে। সহজ লক্ষ্য তাড়ায় মাঝখানে খেই হারিয়ে ফেলে শান্ত-লিটনরা। ম্যাচ জিতলেও রীতিমত ঘাম ছুটেছে চন্ডিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যদের।
আজ রোববার (৫ মে) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১৩৮ রান তোলে জিম্বাবুয়ে। জবাবে ১৮.৩ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ৩৭ রান করেন তাওহিদ হৃদয়।
১৩৯ রানের মাঝারি লক্ষ্য তাড়ায় নেমে দারুণ শুরু করেন দুই ওপেনার তানজিদ তামিম ও লিটন দাস। দলীয় ৪১ রানের মাথায় তামিমের বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। এন্ডলোভুর বলে বেনেটের হাতে ক্যাচ তুলে ফেরেন সাজঘরে। ১৯ বলে ১৮ রান আসে তামিমের ব্যাট থেকে।
এরপর লিটনকে নিয়ে দলকে এগিয়ে নেন শান্ত। যদিও তাদের জুটি খুব একটা বড় হয়নি। দলীয় ৬১ রানের মাথায় বিদায় নেন শান্ত। ১৫ বলে ১৬ রান আসে তার ব্যাট থেকে। শান্তর পর ক্রিজে থিতু হতে পারেননি লিটনও। একই ওভারে জংউইয়ের বলে ক্যাম্পবেলের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ২৫ বলে ২৩ রান করে ফেরেন সাজঘরে। মাঝে বৃষ্টিতে কিছুক্ষণ বন্ধ ছিল খেলা। বৃষ্টির পর দুই তরুণ ব্যাটার জাকের আলী অনিক ও তাওহিদ হৃদয় মিলে দলকে এগিয়ে নেন। এই জুটিতে যোগ হয় আরও ৩১ রান। দলীয় ৯৩ রানে অনিকের বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। নাগারভার বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন এই ব্যাটার। আউটের আগে করেন ১২ বলে ১৩ রান। এরপর মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে বাকি কাজটা সারেন হৃদয়। এত সহজ লক্ষ্য তাড়ায় এমন কষ্টার্জিত জয় অনেকটাই অপ্রত্যাশিত।
এর আগে, ব্যাটিংয়ে জিম্বাবুয়ের শুরুটা হয় রয়েসয়ে। প্রথম চার ওভারে স্কোরবোর্ডে মাত্র ১৫ রান তোলে সফরকারীরা। অবশ্য দেশেশুনে ব্যাটিং করেও উইকেট বাঁচাতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। দলীয় ১৫ রানের মাথায় তাসকিন আহমেদের বলে তাদিওয়ানশে মারুমানি এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফেরেন। ৪ বলে ২ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি।
প্রথম উইকেটের পর দ্বিতীয় উইকেট হারাতেও সময় লাগেনি জিম্বাবুয়ের। দলীয় ৩০ রানের মাথায় সাইফউদ্দিনের বলে শান্তর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন জয়লর্ড গাম্বি। ৩০ বলে ১৭ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। এরপর মাত্র ১২ রানের ব্যবধানে আরও দুই ব্যাটারকে হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে সফরকারীরা।
ব্রায়ান বেনেট ও জোনাথন ক্যাম্পবেলের ব্যাটে চড়ে সেই চাপ সামাল দেয় সিকান্দার রাজার দল। দলীয় ১১৫ রানের মাথায় ক্যাম্পবেলের বিদায়ে ষষ্ঠ উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। আউটের আগে খেলেন ২৪ বলে ৪৫ রানের ঝড়ো ইনিংস। শেষদিকে বেনেটের দৃঢ়তায় স্কোরবোর্ডে ১৩৮ রান তোলে সফরকারীরা। বাংলাদেশের হয়ে তাসকিন ও রিশাদ ২টি করে উইকেট নিয়েছেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
জিম্বাবুয়ে : ২০ ওভারে ১৩৮/৭ (গাম্বি ১৭, মারুমানি ২, ক্রেগ ১৩, রাজা ৩, ক্লাইভ ০, বেনেট ৪৪, ক্যাম্পবেল ৪৫, লুক ২, এন্ডলোভু ৫; শরিফুল ৪-০-২৬-১, মেহেদী ৪-০-১৮-১, তাসকিন ৪-০-১৮-২, সাইফউদ্দিন ৪-০-৩৭-১, রিশাদ ৪-০-৩৩-২)
বাংলাদেশ : ১৮.৩ ওভারে ১৪২/৪ (লিটন ২৩, তানজিদ ১৮, শান্ত ১৬, তাওহিদ ৩৭, জাকের ১৩, মাহমুদউল্লাহ ২৬ ; রিচার্ড ৪-০-৩২-১, মুজারাবানি ৩.৩-০-১৯-০, এন্ডলোভু ৩-০-২৫-১, রাজা ৪-০-৩১-০, লুক ৪-০-৩৫-২)
ফলাফল : বাংলাদেশ ৬ উইকেটে জয়ী।
সিরিজ : ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে বাংলাদেশ