জিম্বাবুয়েকে বড় লক্ষ্য দিতে পারল না বাংলাদেশ
জিতলেই সিরিজ নিশ্চিত। হারলে বাড়বে অপেক্ষা। এমন সমীকরণের ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শুরুটা মোটেই ভালো হয়নি বাংলাদেশের। লিটন-শান্তর ব্যর্থতায় বাংলাদেশ ছিল নড়বড়ে। তবে, মাঝে তাওহীদ হৃদয় ও জাকের আলি মিলে মান বাঁচান। মিডল অর্ডারে দুই তরুণের ব্যাটে চড়ে জিম্বাবুয়েকে ১৬৬ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ।
চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আজ (৭ মে) আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে স্কোরবোর্ডে ১৬৫ রান তুলেছে বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেছেন তাওহিদ।
এদিন টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই মন্থর ছিল বাংলাদেশের ব্যাটিং। এর মধ্যেই দলীয় চতুর্থ ওভারের ওভারে দৃষ্টিকটুভাবে বোল্ড হন লিটন দাস। মুজারবানির হাফ ভলি বলে স্কুপ খেলতে গিয়ে এলোমেলো হয়ে যায় লিটনের স্টাম্প। ১৫ বলে ১২ রান করে ফেরেন ড্রেসিংরুমে। টানা ব্যর্থতায় আটকে থাকা লিটনের আত্মবিশ্বাস নামল আরও নিচে।
লিটনের পর তিনে নেমে একই কায়দায় বোল্ড হলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। পরের ওভারেই সিকান্দার রাজার আর্ম বল ডেলিভারিতে লাইন মিস করেন শান্ত। ব্যাট ও প্যাডের ফাঁক বল আঘাত হানে স্টাম্পে। ৬ রানে বিদায় নেন অধিনায়ক।
ওপেনিংয়ে নেমে থিতু হওয়ার আভাস দেওয়া তানজিদ তামিমও স্থায়ী হলেন না। ২১ রানে ক্যাচ তুলে দিয়ে বিদায় নেন তরুণ এই ওপেনার। ৬০ রানে তিন উইকেট হারিয়ে বিপাকেই পড়ে যায় বাংলাদেশ। সেখান থেকে চতুর্থ উইকেটে জাকের আলির সঙ্গে জুটি গড়েন তাওহিদ হৃদয়। এই জুটিতে রানের গতি বাড়ায় বাংলাদেশ। দুজনেই থিতু হয়ে পরে খেলেন হাত খুলে। দুই তরুণের ব্যাটে মিডল অর্ডারে আশা দেখে বাংলাদেশ। জমে ওঠা এই জুটি ১৯তম ওভারে ভাঙে জিম্বাবুয়ে।
হাফসেঞ্চুরি ছোঁয়া তাওহিদকে বিদায় করেন মুজারবানি। তাকেও বোল্ড করে মাঠছাড়া করেন। বিদায় নেওয়ার আগে ৩৮ বলে ৫৭ রান করেন তাওহিদ। যাতে ছিল তিন বাউন্ডারি ও দুটি ছক্কা। সেই সঙ্গে ভাঙে ৮৭ রানের জুটি।
তাওহিদ ফেরার পড় জাকেরও হন মুজারবানির শিকার। একই কায়দায় বোল্ড করে বিদায় করেন জাকেরকে। ফেরার আগে তিনি খেলেন ৩৪ বলে ৪৪ রানের ইনিংস।
দ্রুত জোড়া উইকেট হারানোর পর মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে শেষ দিকে বাংলাদেশকে দেড়শ ছাড়ানো সংগ্রহ এনে দেন রিশাদ হাসান। শেষ দিকে নেমে মাহমুদউল্লাহ করেন ৯ রান আর রিশাদ করেন ৬।
জিম্বাবুয়ের হয়ে বল হাতে মুজারবানি ১৪ রান দিয়ে নেন তিনটি উইকেট। ৩৮ রান খরচায় সিকান্দার রাজার শিকার একটি। ফারাজ আকরামও নেন একটি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ : ২০ ওভারে ১৬৫/৫ (লিটন ১২, তামিম ২১, শান্ত ৬, হৃদয় ৫৭, জাকের ৪৪, মাহমুদউল্লাহ ৯*, রিশাদ ৬* ; আকরাম ৪-০-৪৪-১ , মুজারাবানি ৪-০-১৪-৩ , রাজা ৪-০-৩৮-১, মাসাকাদজা ৪-০-৩৪-০, জংউই ৪-০-৩৩-০)।