নিজামীর রিভিউ শুনানির পরবর্তী তারিখ ৩ মে
মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া মতিউর রহমান নিজামীর রায় রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) আবেদনের শুনানির জন্য পরবর্তী তারিখ ৩ মে নির্ধারণ করেছেন আদালত।
আজ রোববার সকালে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চে এ দিন নির্ধারণ করেন। বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
আসামিপক্ষের আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত গ্রীষ্মের ছুটিতে যাচ্ছে সুপ্রিম কোর্ট। এ ছাড়া ১ মে সরকারি ছুটি। সবকিছু বিবেচনা করে ৩ মে নতুন দিন নির্ধারণ করা হয়।
আজ নিজামীর রিভিউ আবেদন আপিল বিভাগের কার্যতালিকার ১৯ নম্বর ছিল। এদিন সংক্ষিপ্ত শুনানিতে অংশ নিয়ে সময়ের আবেদন করেন নিজামীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
এর আগে গত ৩ এপ্রিল এ বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু আসামিপক্ষের সময়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগ এক সপ্তাহের জন্য শুনানি মুলতবির আদেশ দিয়েছিলেন।
এর আগে গত ৬ জানুয়ারি ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখে রায় ঘোষণা করেন আপিল বিভাগ। এর পর ১৫ মার্চ নিজামীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহালের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেন আপিল বিভাগ। রায় প্রকাশের পর নিয়ম অনুযায়ী ১৫ দিনের মধ্যে রিভিউ আবেদনের সুযোগ থাকে। সে অনুযায়ী গত ২৯ মার্চ রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে আবেদন করেন নিজামীর আইনজীবীরা।
৭০ পৃষ্ঠার মূল রিভিউ আবেদনের সঙ্গে মোট ২২৯ পৃষ্ঠার নথি সংযোজন করা হয়েছে। এতে নিজামীর দণ্ড থেকে খালাস চাওয়ার পক্ষে ৪৬টি যুক্তি তুলে ধরা হয়েছে।
২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাবনায় হত্যা, ধর্ষণ ও বুদ্ধিজীবী হত্যার দায়ে নিজামীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
এর আগে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের একটি মামলায় ২০১০ সালের ২৯ জুন মতিউর রহমান নিজামীকে গ্রেপ্তার করার পর একই বছরের ২ আগস্ট তাঁকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। সেই থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।