স্বাক্ষর-সিলসহ কেন্দ্রের বাইরে ব্যালট পেপার, প্রিসাইডিং অফিসার আটক
বগুড়ায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রিসাইডিং অফিসারের স্বাক্ষর ও সিলসহ ব্যালট পেপার ভোট কেন্দ্রের বাইরে দেওয়ার অভিযোগে এক প্রিসাইডিং অফিসারকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় এক প্রার্থীর এজেন্টকেও আটক করা হয়। অপরদিকে জাল ভোট দেওয়ার ঘটনায় দুই সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার (৮ মে) দুপুর ১২টার দিকে জেলার গাবতলীতে রামেশ্বরপুর ইউনিয়নে ও সোনারায় উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এসব ঘটনা ঘটে। আটকরা হলেন- প্রিসাইডিং অফিসার শাহজাহান আলী ও এজেন্ট এরশাদ আলী।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বগুড়া জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন রঞ্জন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন রঞ্জন বলেন, ‘প্রিসাইডিং অফিসার শাহজাহান আলী ৯০০ ব্যালট পেপার স্বাক্ষর ও সিলসহ এজেন্ট এরশাদ আলীর মাধ্যমে কেন্দ্রের বাইরে পাঠায়। এরপর বিভিন্ন ভোটারের মাধ্যমে ৩০০ ব্যালট বাক্সে ফেলা হয়। পরবর্তীতে এরশাদকে আটক করে ৬০০ ব্যালট উদ্ধার করা হয়। পরে প্রিজাইডিং অফিসারের কাছ থেকে আরও ৯০০ ব্যালটের মুরি উদ্ধার করা হয়।’
আটক দুজনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন রঞ্জন।
অপরদিকে সোনারায় উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পাওয়া দুই কর্মকর্তা হলেন- হাফিজার রহমান ও আব্দুল মোত্তালিব।
পুলিশ জানায়, এই ভোটকেন্দ্রে একটি কক্ষের দরজা বাইরে থেকে আটকানো দেখে স্থানীয় লোকজন হৈ চৈ শুরু করে। পরে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাদিয়া আফসানা রিমার নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট এসে জাল ভোট দেওয়ার সত্যতা পায়। পরে তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ ঘটনায় জড়িতেদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ব্যবস্থা নেবে বলে জানায় মোবাইল কোর্ট।
এদিকে, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারদের দাবি, ১০ থেকে ১৫ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি এসে তাদের কাছ থেকে ব্যালট বই ছিনিয়ে নেয়। এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানো হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ করেন তারা।