তিন ট্যানারি মালিককে পুলিশে দিলেন হাইকোর্ট
আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী সরকারের নির্ধারিত জায়গায় ট্যানারি স্থানান্তর না করায় তিন মালিককে পুলিশে দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আরো তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
আজ রোববার বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি শাহিদুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। তাঁদের মধ্যে তিনজন আজ আদালতে হাজির হয়ে ক্ষমা চান। তবে আবেদন বাতিল করে তিনজনকেই পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
তিন ট্যানারি মালিক হলেন পূবালী ট্যানারির স্বত্বাধিকারী মাহবুবুর রহমান, প্যারামাউন্ট ট্যানারির এমডি আকবর হোসেন ও রুমি লেদার ইন্ডাস্ট্রিজের এমডি গিয়াস উদ্দিন আহমেদ পাঠান।
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়া অপর তিন ট্যানারি মালিক হলেন মহিন ট্যানারির স্বত্বাধিকারী ওয়াদুদ মিয়া, এশিয়া ট্যানারির স্বত্বাধিকারী মো. মফিজ ও নবীপুর ট্যানারির মালিক আবদুল ওয়াহাব।
এ ছাড়া দেশের বাইরে অবস্থান করা রানা লেদার ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আরেফিন সামছুল আলামিনকে আগামী ৩ মে আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে। তাঁর পক্ষে আইনজীবীর সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই নির্দেশ দেওয়া হয়।
এদিকে, সালেম ট্যানারির স্বত্বাধিকারী আবদুস সালাম,ভুলেট এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী সায়েদুল হক মাস্টার ও করিম লেদারের স্বত্বাধিকারী রেজাউল করিম আনসারী মারা যাওয়ায় তাঁদের আদালত অবমাননার মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
ট্যানারি মালিকদের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস ও শাহ মঞ্জুরুল হক। আদালত অবমাননার আবেদনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।
গত ২৩ মার্চ এক আদেশে ১০ ট্যানারি মালিককে আজ সশরীরে আদালতে হাজির হয়ে ট্যানারি স্থানান্তর না করার কারণ ব্যাখ্যা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
গত বছরের ১৫ আগস্ট আদালতের আদেশ অমান্য করায় ১০ ট্যানারি মালিকের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেন হাইকোর্ট। তাঁদের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা-ও জানতে চান আদালত।
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য এর আগে ২০০১ সালে হাইকোর্ট হাজারীবাগের ট্যানারিগুলো অপসারণের নির্দেশ দেন। হাইকোর্টের ওই নির্দেশে অনেক প্রতিষ্ঠানকে সাভারে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।