উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী হলেন আরও যারা
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ করা হয় গতকাল বুধবার (৮ মে)। এদিন সন্ধ্যার পর থেকেই বিভিন্ন উপজেলা থেকে ভোটের ফলাফল আসতে শুরু করে। আজ বৃহস্পতিবারও বাকি উপজেলাগুলোর ভোটের ফলাফল পাঠাচ্ছেন এনটিভির প্রতিনিধিরা।
উপজেলা নির্বাচনে আরও যারা বিজয়ী হলেন—
নরসিংদী
নরসিংদী সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কাপ-পিরিচ প্রতীকের আনোয়ার হোসেন ও পলাশে কাপ-পিরিচ প্রতীকের সৈয়দ জাবেদ হোসেন নির্বাচিত হয়েছে। আনোয়ার হোসেন নরসিংধী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পদক ও সৈয়দ জাবেদ হোসেন পলাশ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি।
রির্টানিং কর্মকর্তারা জানান, নরসিংদী সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কাপ-পিরিচ প্রতীকে আনোয়ার হোসেন পেয়েছেন ৭২ হাজার ৩১০ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকের আব্দুল বাকির পেয়েছেন ৫০ হাজার ৯১৫ ভোট। আর পলাশ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কাপ-পিরিচ প্রতীকে সৈয়দ জাবেদ হোসেন পেয়েছেন ৩১ হাজার ৩৪২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দোয়াত-কলমের শরিফুল হক পেয়েছেন ৩০ হাজার ৯৬৮ ভোট।
পঞ্চগড়
পঞ্চগড় জেলার পঞ্চগড় সদর, আটোয়ারী ও তেঁতুলিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়াম্যান পদে তিনজনই প্রথমবার নির্বাচিত হয়েছেন।
সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পঞ্চগড়-১ আসনের সাবেক সংসদ মজাহারুল হক প্রধানের ছেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা এ এস মো. শাহনেওয়াজ প্রধান শুভ ঘোড়া প্রতীকে ৩১ হাজার ৯৯৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম। তিনি মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ১৫ হাজার ৩৮৭ ভোট।
তেতুলিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থক মো. নিজাম উদ্দিন খান মোটরসাইকেল প্রতীকে ৩৬ হাজার ৮৪০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন মো. মুক্তারুল হক মুকু পেয়েছেন ১১ হাজার ৮৬৫ ভোট। আর বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহামুদুর রহমান ডাবলু আনারস প্রতীকে পেয়েছেন মাত্র তিন হাজার ৩৫৮ ভোট।
আটোয়ারী উপজেলায় জেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. আনিসুর রহমান ঘোড়া প্রতীকে ৩০ হাজার ৭৫৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আটোয়ারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান তৌহিদুল ইসলাম মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ২৫ হাজার ৮৮৭ ভোট।
কিশোরগঞ্জ
কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোটরসাইকেল প্রতীকে আওলাদ হোসেন ৪৫ হাজার ৪১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মামুন আল মাসুদ খান কাপ-পিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ৪২ হাজার ৮৪৬ ভোট।
হোসেনপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীকে মোহাম্মদ সোহেল ২৩ হাজার ৯৬৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হেলিকপ্টার প্রতীকে এম এ হালিম পেয়েছেন ১৭ হাজার ১৭৪ ভোট।
পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীকে এমদাদুল হক জুটন ২৮ হাজার ৭৩৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি মোটরসাইকেল প্রতীকে রফিকুল ইসলাম রেনু পেয়েছেন ২৭ হাজার ৭৯১ ভোট।
মাদারীপুর
মাদারীপুর সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আসিবুর রহমান খান। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৭৫ হাজার ৫৯৪ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পাভেলুর রহমান শফিক খান মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৬১ হাজার ৩০৩ ভোট। আর ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মনিরুল ইসলাম তুষার, নারী ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন ফারিয়া হাসার রাখি।
রাজৈর উপজেলায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মহসিন মিয়া মোটরসাইকেল প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৪৩ হাজার ৭৪১ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. রেজাউল করিম চৌধুরী খান মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৩১ হাজার ৫৫৪ ভোট। আর ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মো. সাহাবুদ্দিন মিয়া ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন লিতা কুদ্দুস।
ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ডেভিড রানা চিসিম আনারস প্রতীক নিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ২৮ হাজার ৬৩৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ডা. আসাদুজ্জামান আকন্দ সাগর ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ২১ হাজার ৩৪৮ ভোট। মাইক প্রতীক নিয়ে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন জাহাঙ্গীর আলম তিনি পেয়েছেন ২৫ হাজার ৩৭৩ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আজহারুল ইসলাম খায়রুল প্রার্থী চশমা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২০ হাজার ২৩৫ ভোট। ফুটবল প্রতীক নিয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন স্বপ্না আক্তার। ভোট পেয়েছেন ৩৬ হাজার ১০২ ভোট। হাস প্রতীক নিয়ে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বিলকিস আক্তার পেয়েছেন ২৬ হাজার ২১৬ ভোট।
ফুলপুরে আনারস প্রতীক নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক। তিনি পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৩৯১ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঘোড়া প্রতীকের আতাউল করিম রাসেল পেয়েছেন ৩৬ হাজার ২১৬ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান পদে বৈদ্যুতিক বাল্ব প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন আ. ছবুর। তার প্রাপ্ত ভোট ৬৯ হাজার ৬০৬টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আমিনুল ইসলাম টিউবয়েল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১১ হাজার ৯১৪ ভোট। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী মোসা. পান্না আক্তার জয়লাভ করেছেন ৬২ হাজার ৯৭৯ ভোট। তার নিকটতম মোসা. রোকেয়া পারভীন কলস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৫ হাজার আট ভোট।
হালুয়াঘাটে আনারস প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ। তিনি পেয়েছেন ৩৪ হাজার ১৮৫ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে মো. নাজিম উদ্দিন পেয়েছেন ২৮ হাজার ৭৭ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন তালা প্রতীকের প্রার্থী শেখ রাসেল। তার প্রাপ্ত ভোট ২৫ হাজার ৫৮৩টি। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী টিয়া পাখি প্রতীকের এ বি এম কাজল সরকার পেয়েছেন ২০ হাজার ৬০২ ভোট। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন হাস প্রতীকের মনোয়ারা খাতুন। তার প্রাপ্ত ভোট ৩১ হাজার ৮৪৬টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সেলাই মেশিন প্রতীকের সুমী পেয়েছেন ৩০ হাজার ১১৩ ভোট।
সিরাজগঞ্জ
সিরাজগঞ্জের সদর, কাজীপুর ও বেলকুচি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। তিন উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ১৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন। তিনি এবার নিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত হলেন। তিনি সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি। ভাইস চেয়ারম্যান পদে জামাত আলী মুন্সি ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোছা. নুরে ফাতিমা নির্বাচিত হয়েছেন।
কাজীপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন মো. খলিলুর রহমান সিরাজী। তিনি কাজীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এবার নিয়ে তিনি টানা দ্বিতীয়বারের মতো চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হলেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে মো. সেলিম হোসেন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোছা. সুলতানা হক নির্বাচিত হয়েছেন।
বেলকুচি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম সরকার নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য। ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফারুক সরকার ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সুলতানা রাজিয়া মিলন নির্বাচিত হয়েছেন।
জামালপুর
জামালপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দ। তিনি সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান। জামালপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান স্বপনকে তিন হাজার ৩৭৯ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন তিনি। আর তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবুল হোসেন।
জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দ মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে ৬৪ হাজার ৭৯৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। দ্বিতীয়বারের মতো উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জামালপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান স্বপন কাপ-পিরিচ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৬১ হাজার ৪১৯ ভোট। আর আনারস প্রতীক নিয়ে ১০ হাজার ৪৮৫ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন বর্তমান সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আবুল হোসন।
এ ছাড়াও ভাইস চেয়ারম্যান পদে আখতারুজ্জামান উড়োজাহাজ প্রতীকে ৫৩ হাজার ৬৫২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী টিউবয়েল প্রতীকের সাইদুর রহমান পেয়েছেন ৪৬ হাজার ৯৯২ ভোট। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নাজনীন আক্তার কলস প্রতীক নিয়ে ৮৬ হাজার ৬৩২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোহসিনা মৌসুমী ফুটবল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫৪ হাজার ৯৭৯ ভোট।
সুনামগঞ্জ
সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে অবনী মোহন দাস ঘোড়া প্রতীকে ২৩ হাজার ৯০০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী গনেন্দ্র চন্দ্র সরকার পেয়েছেন ১৪ হাজার ৫৭৪ ভোট।
এ ছাড়াও এই উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে আট হাজার ৯৪৮ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন অরিন্দম চৌধুরী অপু। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৯ হাজার ৭৬৬ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন সর্বরি মজুমদার।
এদিকে, দিরাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন প্রদীপ রায়। তিনি দোয়াত কলম প্রতীকে ৩০ হাজার ৪৫২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রঞ্জন রায় ঘোড়া প্রতীকে ১৯ হাজার ৯০৬ ভোট পেয়েছেন।
নীলফামারী
নীলফামারীর ডোমার উপজেলা চেয়ারম্যান পদে টেলিফোন প্রতীকে ৩১ হাজার ৪২১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন সরকার ফারহানা আক্তার সুমি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তোফায়েল আহমেদ পেয়েছেন ২৩ হাজার ১৩৪ ভোট।
গোপালগঞ্জ
গোপালগঞ্জের তিনটি উপজেলায় বুধবার শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় কামরুজ্জামান ভুইয়া লুটুল টেলিফোন প্রতীকে ৩১ হাজার ৩৫৪ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বি এম লিয়াকত আলী আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ২৯ হাজার ৮৬৪ ভোট।
এ উপজেলায় সুশীল বিশ্বাস শিপন উড়োজাহাজ প্রতীকে ২৮ হাজার ২৪০ ভোট পেয়ে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. আজিজুল ইসলাম সিকদার পেয়েছেন ২৮ হাজার ৬৫ ভোট। নিরুন্নাহার হাঁস প্রতীকে ৫৪ হাজার ২৬ ভোট পেয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কলস প্রতীকে শাহনাজ নাজনীন বাবলী পেয়েছেন ৪৫ হাজার ৭৭০ ভোট। এ উপজেলায় মোটর ভোটার দুই লাখ ৯৩ হাজার ১৫১ জন।
টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল শেখ দোয়াত-কলম প্রতীক নিয়ে ৪০ হাজার ৭৭৮ ভোট পেয়ে চেয়াম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী মাসুদুল হক আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১৯ হাজার ৯৫১ ভোট। আব্দুল ওহাব শেখ উড়োজাহাজ প্রতীকে ২০ হাজার ৯৭৩ ভোট পেয়ে ভাইস চেয়াম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী অসীম কুমার বিশ্বাস বৈদ্যুতিক বাল্ব প্রতীকে পেয়েছেন ১৬ হাজার ২০৬ ভোট। এ ছাড়া পারুল বেগম হাঁস প্রতীকে ১৬ হাজার ৩৭ ভোট পেয়ে নারী ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী দুলালী রানী মন্ডল কলস প্রতীকে পেয়েছেন ১৩ হাজার ৮৪০ ভোট। এ উপজেলায় মোট ভোটর ৯০ হাজার ১৩২ জন।
কোটালীপাড়া উপজেলায় বেসরকারি ফলাফলে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস দোয়াত-কমল প্রতীকে ৪০ হাজার ২৭১ ভোট পেয়ে পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-ভাপতি মুজিবুর রহমান হাওলাদার চিংড়িং মাছ প্রতীকে পেয়েছেন ৩৯ হাজার ২৮২ ভোট। দেব দুলাল বসু পল্টু টিউবওয়েল প্রতীকে ৬৯ হাজার ৫৩৭ ভোট পেয়ে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আতিক উজ্জামান বিশ্বাস তালা প্রতীকে পেয়েছেন ৪২ হাজার ৭৩৬ ভোট। জেসমিন বেগম কলস প্রতীকে ৪৫ হাজার ৯৮৯ ভোট পেয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। নিকতম প্রতিদ্বন্দ্বী রীনা মন্ডল পদ্ম ফুল প্রতীকে পেয়েছেন ২৫ হাজার ৭৮২ ভোট। উপজেলায় মোট ভোটার রয়েছে দুই লাখ পাঁচ হাজার ১৪৬ জন।
ফরিদপুর
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ফরিদপুরের সদর, মধুখালী ও চরভদ্রাসন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ। এই নির্বাচনে ফরিদপুর সদর উপজেলায় চমক দেখান চেয়ারম্যান প্রার্থী শামসুল আলম চৌধুরী। তিনি নির্বাচনের একদিন আগে জেলে গেলেও তার বিজয় ঠেকানো যায়নি।
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী শামসুল আলম চৌধুরী দুই হাজার কোটি টাকা মানি লন্ডারিং মামলায় নির্বাচনের একদিন আগে কারাগারে যান। ভোটের দিন তিনি নিয়েছি নির্বাচনী এলাকায় না থাকলেও ভোটাররা তাকে ভুলে যাননি। প্রায় তিন হাজারের বেশি ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন তিনি। তিনি সর্বমোট ভোট পান ৩২ হাজার ৩১৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মনিরুল হাসান পান ২৯ হাজার ৩৩ ভোট।
অপরদিকে ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মো. মুরাদুজ্জামান মুরাদ। তিনি ২৯ হাজার ৩৩৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মির্জা আহসানুজ্জামান আজাউল পান ১৮ হাজার ৩৯৪ ভোট।
এ ছাড়া চরভদ্রাসন উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আনোয়ার আলী। তিনি ১৬ হাজার ২৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নিজাম উদ্দিন টেলিফোন প্রতীকে পেয়েছেন ১০ হাজার ৪৫৪ ভোট।
নড়াইল
নড়াইলের কালিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে খান শামীম রহমান চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তৃতীয়বারের মতো তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন। খান শামীম রহমান চিংড়ি মাছ প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ৩০ হাজার ৪৬৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এস এম নাজমুল হক প্রিন্স দোয়াত-কলম প্রতীকে পেয়েছেন ১৬ হাজার ৮৪২ ভোট। এ ছাড়া সাবেক চেয়ারম্যান কৃষ্ণপদ ঘোষ মোটরসাইকেল প্রতীকে ১১ হাজার ৪৭৫ ভোট, মো. মাহমুদুল হাসান কায়েস ঘোড়া প্রতীকে ১০ হাজার ৪০৭ ভোট ও এস এম হারুনার রশীদ আনারস প্রতীকে সাত হাজার ৪৬০ ভোট পেয়েছেন।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে মো. মাহবুবুল আলম উড়োজাহাজ প্রতীকে ১৯ হাজার ৫৭৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইমরুল ইসলাম চশমা প্রতীকে পেয়েছেন ১৭ হাজার ১৬০ ভোট। এ ছাড়া ইব্রাহিম শেখ ১৬ হাজার ৯০ ভোট, আশীষ ভট্টাচার্য্য ১৩ হাজার ৭৩৭ ভোট ও আশরাফুল ইসলাম ৯ হাজার ৫৭ ভোট পেয়েছেন।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ববিতা বেগম ফুটবল প্রতীকে ৪২ হাজার ৪৭৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে বিউটি আক্তার হাস প্রতীকে ১৯ হাজার ৩৫৬ ভোট ও সোহেলী পারভীন কলস প্রতীকে পেয়েছেন ১৩ হাজার ১১১ ভোট।
রাজশাহী
রাজশাহীর তানোরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ২৬ হাজার ৩১৬ ভোট বেশি পেয়ে কাপ-পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৪৬ হাজার ৩৯৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুল্লাহ আল মামুন মোটরসাইকেল প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ২০ হাজার ৭৯ ভোট।
অপরদিকে, রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান নর্বাচিত হয়েছেন বেলাল উদ্দিন সোহেল। তিনি দোয়াত-কলম প্রতীক নিয়ে ৬৬ হাজার ৭৩৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হলেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম কাপ-পিরিচ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৫ হাজার ৩৬৮ ভোট।
সিলেট
সিলেটের চার উপজেলার মধ্যে সদর উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সুজাত আলী রফিক। দক্ষিণ উপজেলা চেয়ারম্যান হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. বদরুল ইসলাম। আর গোলাপগঞ্জ উপজেলায় নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মঞ্জুর কাদির শাফি চৌধুরী এলিম। বিশ্বনাথ উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি মোহাম্মদ সুহেল আহমদ চৌধুরী।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল কাদের। তিনি ৩৩ হাজার ৯৯২ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবু রেজা মোস্তফা কামাল শামীম পেয়েছেন ১০ হাজার ৮৭০ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান পদে কামালউদ্দিন ১৯ হাজার ৫৫৫ ভোট ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে শামীমা ইয়াসমিন ২৯ হাজার ৩৪০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
ভোলাহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন বহিষ্কৃত বিএনপিনেতা আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি ১৩ হাজার ৮৪ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল খালেক ১০ হাজার ৭৬৬ ভোট পেয়েছেন। এ ছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে কামাল উদ্দিন ১৫ হাজার ৭৮৫ ভোট ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে শাহজাদী খাতুন ২১ হাজার ৫৮৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
গোমস্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন বহিষ্কৃত বিএনপিনেতা আশরাফ হোসেন আলিম। তিনি পেয়েছেন ৪০ হাজার ৬২০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ নেতা হুমায়ুন রেজা ৪০ হাজার ৬১ ভোট পেয়েছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে হাসানুজ্জামান নুহু ২৬ হাজার ৫৬৬ ভোট ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনিরা ২০ হাজার ৫০৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
কক্সবাজার
কক্সবাজার সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আবছার। তিনি মোটরসাইকেল প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৯৭৪টি। তার নিকটতম মুজিবুর রহমান প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ২৬ হাজার ৫৫ ভোট। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এ ছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত রশিদ মিয়া বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। আর মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের নেত্রী রোমেনা আক্তার নির্বাচিত হয়েছেন।
কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হানিফ বিন কাশেম। তিনি ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ২৭ হাজার ৩৯৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আছহাব উদ্দিন পেয়েছেন পাঁচ হাজার ৫২২ ভোট। আর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী তিন হাজার ৭৪৬ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন। তিনি বর্তমানে এই উপজেলার চেয়ারম্যান। নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান হানিফ বিন কাশেম তারই ভাতিজা।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে জামায়াতে ইসলামী সমর্থিত আকবর খান এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত হাসিনা আকতার বিউটি নির্বাচিত হয়েছেন। হাসিনা আকতার তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত হলেন।
অন্যদিকে, মহেশখালী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন জামায়াতে ইসলামী সমর্থিত জয়নাল আবেদীন। দোয়াত-কলম প্রতীকে তিনি ভোট পেয়েছেন ৩৮ হাজার ১২৯টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা হাবিব উল্লাহ টুপি প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৮৫৯ ভোট। এই উপজেলায় আওয়ামী লীগের কোনো নেতা প্রার্থী হননি। ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত আবু ছালেহ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের নেত্রী মনোয়ারা কাজল নির্বাচিত হয়েছেন।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আরও ফলাফল জানতে পড়ুন : প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন যাঁরা