ব্যাটিং পরখ করার ম্যাচে মাঝারি পুঁজি বাংলাদেশের
সিরিজ নিশ্চিত হয়ে গেছে আগেই। আপাতপক্ষে বাংলাদেশের এই ম্যাচে হারানোর কিছু নেই। ফলাফল ছাপিয়ে নিজেদের পরখ করে নেওয়াই মূল লক্ষ্য। সেই সঙ্গে বোনাস জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ। এমন ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে মাঝারি লক্ষ্য দাঁড় করিয়েছে বাংলাদেশ। টপ অর্ডারদের ব্যর্থতার দিনে লোয়ার অর্ডারে চড়ে জিম্বাবুয়েকে ১৫৮ রানের লক্ষ্য দিল লাল-সবুজের দল।
পাঁচ ম্যাচ সিরিজের পঞ্চম ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে স্কোরবোর্ডে ১৫৭ রান তুলেছে বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৪ রানটা এসেছে মাহমুদউল্লাহর ব্যাট থেকে।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ম্যাচটি বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের সামনে শেষ সুযোগ নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার। এমন ম্যাচে টসে হেরে স্বাগতিকরা নামে ব্যাটিংয়ে। আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়। আগের ম্যাচে ওপেনিং জুটিতে কিছুটা আশার আলো দেখিয়েছেন তানজিদ তামিম ও সৌম্য সরকার। আজ দুজনেই ডুবলেন হতাশায়। দলীয় ৯ রানেই উইকেট উপহার দিয়ে বিদায় নেন দুই ওপেনার।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ব্লেসিং মুজারাবানি অফ স্টাম্পের বাইরের বল পুল করতে গিয়ে শর্ট কাভারে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তামিম। পরের ওভারে সৌম্যকে বিদায় করেন বেনেট। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে শন উইলিয়ামসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ৭ রানে বিদায় নেন সৌম্য।
চারে নেমে আজও ব্যর্থ তাওহিদ। ৬ বল খেলে শুধু বল অপচয় করে তিনিও ফিরলেন সাজঘরে। স্কোরবোর্ডে ১ রানের বেশি যোগ করতে পারলেন না। ১৫ রানে তিন উইকেট হারানোর পর প্রতিরোধের আভাস দেয় মাহমুদউল্লাহ ও নাজমুল হোসেন শান্তর জুটি। ৮৪ রানে শান্তকে আউট করে এই জুটি ভেঙে জিম্বাবুয়েকে ফের লড়াইয়ে ফেরান মাসাকাদজা। ফেরার আগে ২৮বলে ৩৮ রান করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
তবে, বাকিদের ব্যর্থতার দিনে বিপরীত ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। চরম বিপদে ঢাল হয়ে দাঁড়ান। এর মধ্যে ৩৬ বলে তুলে নেন ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি। আগের ম্যাচে ব্যাট হাতে জ্বলতে নামা পারা সাকিব আল হাসান আজও পারলেন না ইনিংস বড় করতে। লুক জঙ্গুয়ের ডেলিভারিতে দুর্দান্ত ক্যাচ দিয়ে ২১ রানে ফেরেন তিনি। ব্যাটারদের একে একে ব্যর্থতার দিনে শুধুমাত্র মাহমুদউল্লাহই লড়াই করেন। অভিজ্ঞ এই ব্যাটারেই পথ দেখে বাংলাদেশ। ৪৪ বলে ৫৪ রান করে থামেন তিনি। তার বিদায়ের পর শেষ দিকে সাইফউদ্দিন ও জাকের আলির ব্যাটে ১৫৭ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস। জাকের করেন ২৪ রান। আর সাইফউদ্দিনের ব্যাট থেকে আসে ৬ রান।
জিম্বাবুয়ের হয়ে বল হাতে ২০ রান দিয়ে দুটি উইকেট নেন বেনেট। ২২ রান খরচায় ব্লেসিং মুজারবানির শিকার দুটি। মাসাকাদজাও নিয়েছেন এক উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ : ২০ ওভারে ১৫৭/৬(তামিম ১, সৌম্য ৭, শান্ত ৩৬, তাওহিদ ১, সাকিব ২১, মাহমুদউল্লাহ ৫৪, জাকের ২৪, সাইফউদ্দিন ৬; রাজা ৪-০-২৬-০, উইলিয়ামস ১-০-১২-০, জঙ্গুয়ে ৪-০-৩৩-১, মাসাকাদজা ২-০-২৩-১, মুজারবানি ৪-১-২২-২, বেনেট ৩-১-২০-২, ফারাজ ২-০-২০-০)।