ঈদের পর শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখা না লাগতে পারে : শিক্ষামন্ত্রী
পবিত্র ঈদুল আজহার পর শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখা না লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। আজ রোববার (১২ মে) সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
‘শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার সিদ্ধান্ত সাময়িক’ উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান বলেন, ‘তীব্র তাপপ্রবাহে ৯ দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছিল। তাই শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখা হয়েছে। এটি সাময়িক সিদ্ধান্ত। ঈদুল আজহার পরে শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখা না লাগতে পারে।’
শিক্ষামন্ত্রী জানান, এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৮৩ দশমিক ৪ শতাংশ। এরমধ্যে ছেলেদের পাশের হার ৮১ দশমিক ৫৭ শতাংশ ও মেয়েদের পাসের হার ৮৪ দশমিক ৪৭। পাশাপাশি এবার ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা বেশি জিপিএ-৫ পেয়েছে।
মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় সারাদেশে মোট পাস করেছে ১৬ লাখ ৭২ হাজার ১৫৩ জন। এরমধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে এক লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জন। পাসের হার বৃদ্ধি পেয়েছে ২ দশমিক ৬৫ শতাংশ। আর ছাত্রের চেয়ে ১৫ হাজার ৪২৩ জন বেশি ছাত্রী জিপিএ-৫ পেয়েছে।
চাকরির বয়সসীমা ৩৫ করার দাবির আন্দোলন প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এখানে অনেকে সংঘাতমূলক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাচ্ছে, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আন্দোলনের নামে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি কাম্য নয়। আর এটা নিয়ে আমি আলোচনা করে জানতে পেরেছি- যাদের বয়স ৩০ বছর তাদের মাত্র এক শতাংশ চাকরি পায়, সেখানে ৩৫ করা হলে আর কি-বা হবে। এ ছাড়া আমার সুপারিশের পর সংসদে জনপ্রশাসন মন্ত্রী ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তাই নতুন করে আমার সুপারিশ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো ঠিক নয়।’
এবার এসএসসি ও সমমানের ফলে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৮৯ দশমিক ৩২ শতাংশ। পাশাপাশি চট্টগ্রাম বোর্ডে ৮২ দশমিক ৮০ শতাংশ, বরিশাল বোর্ডে ৮৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ, যশোর বোর্ডে ৯২ দশমিক ৩২ শতাংশ, ময়মনসিংহ বোর্ডে ৮৪ দশমিক ৯৩ শতাংশ, রাজশাহী বোর্ডে ৮৯ দশমিক ২৫ শতাংশ, কুমিল্লা বোর্ডে ৭৯ দশমিক ২৩ শতাংশ, দিনাজপুর বোর্ডে ৭৮ দশমিক ৪০ শতাংশ, সিলেট বোর্ডে পাসের হার ৭৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ। এ ছাড়া কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে পাসের ৮১ দশমিক ৩৮ শতাংশ ও মাদরাসা বোর্ডে ৭৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে।