রাজধানীতে ৬৫টি হাতবোমা উদ্ধারের ঘটনায় তিনজন রিমান্ডে
রাজধানীর বাড্ডা থানাধীন পূর্ব বাড্ডার টেকপাড়া এলাকায় একটি বাড়ির ভেতরে হাতবোমা তৈরির আস্তানায় অভিযান চালিয়ে ৬৫টি শক্তিশালী হাতবোমা উদ্ধারের ঘটনায় তিনজনকে তিন দিন করে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ শুক্রবার (২৪ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল্ল্যাহ এই আদেশ দেন।
এদিন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামিদের হাজির করে সাত দিন করে রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারক প্রত্যেক আসামিকে তিন দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন।
এর আগে গত বুধবার বিকেল ৪টার দিকে রাজধানীর বাড্ডায় জরাজীর্ণ একটি ভবন ঘিরে শুরু হয় র্যাবের তৎপরতা। কঠোর নিরাপত্তায় ঘিরে ফেলা হয় আশপাশের এলাকা। প্রায় সাত ঘণ্টা ধরে চলে অভিযান।
পরে ব্রিফিংয়ে সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. ফিরোজ কবীর জানান, পূর্ব-বাড্ডার টেকপাড়া এলাকায় একটি বাড়িতে বিপুল পরিমাণ অবৈধ হাতবোমাসহ বোমা তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়ে অভিযানে যায় র্যাব-৩। পরে বাড়িটি ঘিরে রাখা হয়। এরপর ঘটনাস্থলে র্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট পৌঁছায়। এরপর তল্লাশি চালিয়ে ৬৫টি হাতবোমা উদ্ধার করেছে র্যাব। অভিযানে বিস্ফোরক তৈরিরত অবস্থায় আটক করা হয় তিনজনকে।
র্যাব আরও জানায়, জঙ্গিদের কাট আউট সিস্টেমে কাজ করতো এই চক্র। সজীবের কাছ থেকে বোম নিয়ে মাছুম দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করতো। ঈদ কিংবা উপজেলা নির্বাচনে নাশকতা করতে বোমাগুলো ব্যবহারের পরিকল্পনা ছিল বলে ধারণা র্যাবের। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে একজন এর আগেও বোমা তৈরির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিল।
র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. ফিরোজ কবীর বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে, চলমান উপজেলা নির্বাচনে বড় ধরনের নাশকতার উদ্দেশ্যেই বোমাগুলো তৈরি হচ্ছিল এ কারখানায়। সজীব ও মাছুমকে ধরার চেষ্টা চলছে। ভবন মালিক জড়িত কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’