সাগরে গভীর নিম্নচাপ, ছয় বিভাগে ভারী বর্ষণের শঙ্কা
বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। পরে ঘূর্ণিঝড়টি অতিপ্রবল হয়ে উপকূলীয় অঞ্চলে তীব্র বেগে আঘাত হানতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
আজ শনিবার (২৫ মে) সকালে আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আজ সকাল ৯টায় গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
এ পরিস্থিতিতে আজ শনিবার (২৫ মে) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
এর পরের ৪৮ ঘণ্টা দেশের সব বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় বজ্রসহ ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। এ সময় সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে বর্ধিত পাঁচদিনের আবহাওয়ার অবস্থায় বলা হয়েছে, বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমতে পারে। সেই সঙ্গে সারা দেশে বাড়তে পারে তাপমাত্রা। আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে টেকনাফে ১৭ মিলিসিটার, কুতুবদিয়ায় তিন মিলিমিটার এবং কক্সবাজার ও সিলেটে সামান্য বৃষ্টিপাত হয়েছে।
এ সময়ে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সীতাকুণ্ডে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একই সময়ে ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।