যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয়ের আবেদন করতে পারবেন ব্লগাররা
বাংলাদেশে হুমকির মুখে থাকা ব্লগার ও ধর্মনিরপেক্ষ অ্যাকটিভিস্টরা যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় পেতে আবেদন করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপমুখপাত্র মার্ক টোনার।
সোমবার ওয়াশিংটন ডিসিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন ওই কর্মকর্তা। একই সঙ্গে তিনি বলেন, এ জন্য যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের (ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি) কাছে আবেদন করতে হবে।
নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, বাংলাদেশের হুমকির মুখে থাকা ব্লগারদের মানবিক দিক বিবেচনায় যুক্তরাষ্ট্র ভিসা দিচ্ছে বলে একজন জানিয়েছেন। আপনি এটা নিশ্চিত করতে পারবেন? এবং এ ধরনের কতজন ভিসার জন্য আবেদন করেছেন?
এর উত্তরে মার্ক টোনার বলেন, ‘অবশ্যই আমরা ওই ব্লগার বা ছাত্রকে হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এর আগেও আমরা এ ধরনের হামলার ঘটনা দেখেছি। গত শুক্রবার আমি যা বলেছিলাম সে বিষয়ে আপনি জানতে চাচ্ছেন : কিছু ব্যক্তি আশু হুমকির মুখে রয়েছেন, এ ধরনের পরিস্থিতিতে তারা অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন জানাতে পারেন, যেটাকে আমরা মানবিক প্যারোল বলে থাকি। আমার মনে হয়, এ ক্ষেত্রে আমি আপনাদের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের খোঁজ নেওয়ার অনুরোধ করব, এ ধরনের কিছু বিবেচনায় আছে কি না তা জানতে।’
এর পর প্রশ্ন করা হয়, এ ধরনের কতজন আবেদন করেছেন? মার্ক টোনার বলেন, ‘আমি জানি না।’
সাংবাদিকের প্রশ্ন, এ পর্যন্ত সাত ব্লগারকে হত্যা করা হলো-বাংলাদেশের ভেতরে নিরাপত্তা নিয়ে আপনার কী মনে হয়? আপনি উদ্বিগ্ন নাকি...
এর উত্তরে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপমুখপাত্র বলেন, ‘অবশ্যই এটা গভীর উদ্বেগের। বাংলাদেশ সরকারের কাছে আমরা সহায়তার প্রস্তাব করেছি, তদন্তে সহযোগিতা, এফবিআইয়ের সহায়তা দেওয়া হবে। সাম্প্রতিক খবরে বলা হয়েছে আল-কায়েদা এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে রয়েছে। এগুলো ভয়াবহ হামলা। এসব হামলা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের প্রতি এবং হামলার পূর্ণ তদন্ত ও ভুক্তভোগী পরিবারকে সমর্থন জানানোর জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।’
এর আগে গত ৮ এপ্রিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র নাজিমুদ্দিন সামাদ (২৬) হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানায় যুক্তরাষ্ট্র।
গত ৬ এপ্রিল ঢাকার সূত্রাপুরের একরামপুর মোড়ে নাজিমুদ্দিন সামাদকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর পর মাথায় গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পরে সূত্রাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুল ইসলাম লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। এ ঘটনায় সূত্রাপুর থানায় মামলা করে পুলিশ। মামলাটি তদন্ত করছেন পরিদর্শক (তদন্ত) সমীর কুমার সূত্রধর।