দেশ বিক্রির মতো কোনো চুক্তি করিনি : প্রধানমন্ত্রী
ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত রেল যোগাযোগ চুক্তির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘ভারতের সঙ্গে রেল যোগাযোগ চুক্তির সমালোচনা হবে কেন? এ চুক্তির ফলে আমি দেশটাকে কীভাবে বিক্রি করে দিলাম? স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা করেই আমরা দ্বিপক্ষীয় চুক্তিগুলো করেছি। আমরা দেশ বিক্রির জন্য কোনো চুক্তি করিনি। শেখ হাসিনা দেশ বিক্রির জন্য কোনো চুক্তি করে না।’
প্রধানমন্ত্রী আজ মঙ্গলবার (২৫ জুন) তার সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের পাল্টা প্রশ্ন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভারতকে রেল যোগাযোগ সুবিধা দিলে ক্ষতি কোথায়? আমরা কি দরজা বন্ধ করে দিয়ে বসে থাকব?’
একজন সাংবাদিক প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে সম্পাদিত রেল যোগাযোগ চুক্তির বিষয়ে প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘এ চুক্তির ফলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। কেউ কেউ এ চুক্তিকে ভারতের কাছে দেশ বিক্রির চুক্তি হিসেবেও উল্লেখ করছেন। এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কী?’ এর জবাবে প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকের কাছে জানতে চান, ‘আমি কীভাবে দেশটা বিক্রি করলাম? কিছু বিক্রি করলে তো দাঁড়িপাল্লায় মেপে বিক্রি করতে হয়। আমি কীভাবে বিক্রি করলাম?’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ভারতে রেল যোগাযোগ সুবিধা দিলে সমস্যা কোথায়? আমি তো কোনো সমস্যা দেখছি না। এ চুক্তির মাধ্যমে যদি দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি হয় এবং জনগণের কল্যাণ হয়, তাহলে আমি এ চুক্তি কেন করব না।’
রেল যোগাযোগ চু্ক্তির বিষয়ে সমালোচনার জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছে। ভারত সম্পূর্ণ বিনা স্বার্থে আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সহায়তা করেছে। ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক এখন অনেক গভীর। কাজেই ভারতের কাছে আমি দেশ বিক্রি করে দেব কিংবা ভারত আমাদের দেশ দখল করে ফেলবে, এগুলো গুজব ছাড়া আর কিছু নয়।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতে আমার এ সফর ছিল দেশের মানুষের জন্য অত্যন্ত গৌরবের। এ সফরের ফলে আমাদের দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক আরও উচ্চতায় পৌঁছবে।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে গত ২১ থেকে ২২ জুন নয়াদিল্লিতে দ্বিপাক্ষিক রাষ্ট্রীয় সফর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। টানা তৃতীয় মেয়াদে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) সরকার গঠনের পর নয়াদিল্লিতে এটিই কোনো সরকারপ্রধানের প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর।