টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
ফাইনাল মহারণে আজ মুখোমুখি ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা
আর মাত্র একটি ম্যাচ। এরপরই পর্দা নামবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরের। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ থেকে কেবল এক পা দুরত্বে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ইতিহাস গড়ে প্রথমবারের মতো কোনো বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে প্রোটিয়াদের এটি প্রথম ফাইনাল। প্রতিপক্ষ ভারত অবশ্য সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপেই খেলেছে ফাইনাল। ফেভারিটের মতো খেলে এবারও ফাইনালে তারা। বার্বাডোজের কেনসিংটন ওভালে আজ শনিবার (২৯ জুন) মাঠে গড়াবে মেগা ফাইনাল। বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় শুরু হবে ম্যাচটি।
এমন এক ম্যাচ যেখানে পরিসংখ্যান, অতীত ইতিহাস, শক্তি-সামর্থ্য—কাজে দেবে না কিছুই। যারা নিজেদের সবটা নিংড়ে দিতে পারবে, শিরোপা তাদের। তাছাড়া, ভারত কিংবা দক্ষিণ আফ্রিকা কেউই পিছিয়ে নেই কারও চেয়ে। যে কারণে অপেক্ষা জমজমাট এক লড়াইয়ের। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং—তিন বিভাগেই টুর্নামেন্টের সবচেয়ে ভারসাম্যপূর্ণ দুদল উঠেছে ফাইনালে।
ফাইনালের আগে ছন্দে আছেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। টানা দুই ম্যাচে অর্ধশতকের দেখা পেলেন তিনি। তার নেতৃত্বে পুরো দলই আছে ছন্দে। গ্রুপপর্ব থেকে সুপার এইট, সেখান থেকে সেমি, কোথাও প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে হয়নি ভারতকে। দক্ষিণ আফ্রিকার যাত্রা অতটা মসৃণ না হলেও ইতিহাস গড়ার পথে দলটি খেলেছে উজাড় করে। এইডেন মার্করামের নেতৃত্বে দলটি যা করেছে, প্রোটিয়াদের ইতিহাসেই তো এমনটি হয়নি আগে।
বিশ্বকাপের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকা, হঠাৎ করে একথা শুনলে অবাক বনে যাবে অনেকেই। এর আগে যে কখনোই বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠতে পারেনি তারা। দলটির ক্রিকেট ইতিহাস বেশ সমৃদ্ধ। তবু, অতৃপ্তি ছিল। বিশ্বকাপে সবসময়ই ফেভারিটের তালিকায় থাকে তারা। সেমি ফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছেছে সাতবার (পাঁচবার ওয়ানডে বিশ্বকাপ, দুবার টি-টোয়েন্টি। এবারসহ আটবার)। সেখান থেকে ফাইনালে আর যাওয়া হতো না। বড় ম্যাচে চাপ সামলাতে না পারায় প্রোটিয়াদের নামই তাই হয়ে যায় চোকার্স। সেখান থেকে বেরিয়ে ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অবশেষে ফাইনালের মুখ দেখতে পেল তারা।
ভারতের অপেক্ষাটাও কম দীর্ঘ নয়। কেবল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের হিসাব ধরলেও সেটি দীর্ঘদিনের। প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয় ২০০৭ সালে। সেবার চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। এরপর দ্বিতীয়বার দলটি ফাইনাল খেলে ২০১৪ সালে। সাত বছর অপেক্ষার পর ফাইনাল খেললেও শিরোপার দেখা পায়নি তারা। এরপর কেটেছে আরও ১০ বছর। এক দশক পর ফের বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারত। ক্রিকেটের এই সংস্করণের বিশ্বকাপে এক ফাইনাল থেকে আরেকটি ফাইনাল খেলতে এত লম্বা সময় অপেক্ষা করতে হয়নি কোনো দলকে। আর শিরোপার অপেক্ষা ধরলে সেটি আরও দীর্ঘ। ১৭ বছর! আগামীকালের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাতে না পারলে যা দীর্ঘায়িত হবে।