কে কত ভোট পেলেন ইরানে?
কম ভোটার উপস্থিতির দিক দিয়ে রেকর্ড গড়েছে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। প্রথম দফায় ভোট দিয়েছেন ৪০ শতাংশ ভোটার। সেই ভোটে কোনো প্রার্থীই পাননি সংখ্যা গরিষ্ঠতা। ফলে দ্বিতীয় দফায় লড়তে হবে দুজনকে।
১৯ মে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হলে প্রেসিডেন্ট পদটি শূন্য হয়ে পড়ে। সংবিধান অনুযায়ী, ৫০ দিনের মধ্যে নতুন নির্বাচন আয়োজনের বাধ্যবাধকতা ছিল দেশটিতে। সে হিসেবে গতকাল ২৮ জুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়তে ছয়জনকে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছিল ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লা আলি খামেনির নেতৃত্বে গঠিত কর্তৃপক্ষ। এরমধ্যে দুই কট্টরপন্থী প্রার্থী নিজেদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন। ফলে প্রথম দফার নির্বাচনে লড়াই চলে চারজনের মধ্যে।
সেই লড়াইয়ে দুই কোটি ৪৫ লাখ ভোট গণনার পর দেখা গেছে, সংস্কারপন্থী মাসুদ পেজেশকিয়ান এক কোটির চার লাখ ভোট পেয়েছেন। আর তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কট্টরপন্থী প্রার্থী সাইদ জালিলি পেয়েছেন ৯৪ লাখের মতো ভোট।
এ ছাড়া দেশটির পার্লামেন্টের স্পিকার ৬২ বছর বয়সী মোহাম্মদ বাঘের গালিবাফ ৩৩ লাখ ভোট পেয়েছেন। বাঘের গালিবাফ তেহরান শহরের সাবেক মেয়র। এ ছাড়া দেশটির ক্ষমতাধর প্যারামিলিটারি বাহিনী রেভল্যুশনারি গার্ডের সদস্য তিনি।
আরেক রক্ষণশীল ইসলামিক নেতা মোস্তফা পুরমোহাম্মদি পেয়েছেন দুই লাখ ছয় হাজার ৩৯৭ ভোট।
মন্ত্রণালয়ের নির্বাচনি সদর দপ্তর থেকে পাওয়া তথ্যের বরাতে এক প্রতিবেদন এ কথা জানায় কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরা। ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দেশটির সংবিধান অনুযায়ী, কোনো প্রার্থীই সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে না পারায় পরবর্তী দফায় পৌঁছাল এই নির্বাচন। আগামী শুক্রবার ৫ জুলাই ফের হবে ভোটাভুটি। সেখানে লড়বেন মাসুদ পেজেশকিয়ান ও সাইদ জালিলি।
প্রথম ধাপে ছয় কোটি ১০ লাখ ভোটারের মধ্যে মাত্র ৪০ শতাংশ ভোট দিয়েছেন বলে দাবি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের। এই হিসাব বলছে, ১৯৭৯ সালের অভ্যুত্থানের পর কম ভোটার উপস্থিতির দিক দিয়ে রেকর্ড করেছে এই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন।