আপিল বিভাগে ফের ক্ষমা চাইলেন আইনজীবী মহসীন ও বাদল
প্রধান বিচারপতিকে অবমাননাকর চিঠি দেওয়ার ঘটনায় ফের আপিল বিভাগে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন আইনজীবী মহসীন রশিদ ও শাহ আহমেদ বাদল। আজ রোববার (৩০ জুন) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে হাজির হয়ে তারা ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
পরে আপিল বিভাগ আদেশের জন্য ২১ জুলাই দিন ধার্য করেন।
এর আগে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগে মহসীন রশিদ ও শাহ আহমেদ বাদল নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছিলেন।
গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে ১ থেকে ৭ জানুয়ারি আদালত বর্জনের কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের সংগঠন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম।
ওই কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে মোহাম্মদ মহসীন রশিদ ও শাহ আহমেদ বাদল গত ১ জানুয়ারি আদালত বর্জন কর্মসূচি নিয়ে প্রধান বিচারপতির দপ্তরে চিঠি দেয়। পরদিন এ চিঠি প্রধান বিচারপতির দপ্তরে উপস্থাপন করা হয়।
চিঠিতে বলা হয়, আদালত বর্জন কর্মসূচি চলাকালে মামলা সংশ্লিষ্ট যেসব আইনজীবী শুনানিতে অংশ নিতে অথবা নির্ধারিত তারিখে আদালতে উপস্থিত থাকতে পারবেন না, সেসব মামলার পরবর্তী কার্যক্রম ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করা হোক। সংশ্লিষ্ট আইনজীবীদের অনুপস্থিতে মামলা খারিজ বা বিরূপ আদেশ দেওয়া উচিত হবে না।
পরে এ চিঠি নিয়ে দেওয়া আপিল বিভাগের আদেশে বলা হয়, চিঠিতে কিছু অবমাননাকর বিবৃতি (শব্দ ও বাক্য চয়ন) রয়েছে, যা প্রাথমিকভাবে রাষ্ট্রবিরোধী এবং সামগ্রিকভাবে বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি, অবস্থান ও মর্যাদার প্রতি অবমাননাকর বলে মনে হয়েছে।
পরবর্তীতে গত ৩ জানুয়ারি এই দুই আইনজীবীকে হাজির হতে বলা হয় এবং তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে কেন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তার ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। ওই আদেশ অনুযায়ী এই দুই আইনজীবী গত ১১ জানুয়ারি আপিল বিভাগে হাজির হন।
পরে ওইদিন তাদের পক্ষ থেকে সময় আবেদন করা হলে আদালত ব্যাখ্যা দিতে দুই আইনজীবীকে চার সপ্তাহ সময় দেন। এই সময়ে তারা সুপ্রিম কোর্টে কোনো মামলা পরিচালনা করতে পারবেন না বলেও আদেশ দেওয়া হয়।