সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা শামসুদ্দোহা ও তার স্ত্রীর অবৈধ সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুদক
পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (এডিশনাল আইজিপি) ড. শামসুদ্দোহা খন্দকার ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলার অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ঢাকা মহানগর বিশেষ জজ আদালতে আজ মঙ্গলবার (২ জুলাই) এই অভিযোগপত্র দাখিল করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
দুদক জানায়, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এক হাজার ২৭ শতক জমি আছে তাদের নামে। দলিলে এসব জমির দাম ৭০ কোটি টাকা দেখানো হলেও আদতে বাজারদর প্রায় ৫০০ কোটি টাকার বেশি হবে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, শামসুদ্দোহা খন্দকারের বিরুদ্ধে আট কোটি ৪৪ লাখ ১০ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০১৯ সালের ২১ জানুয়ারি মামলা করে দুদক। মামলাটি তদন্ত করে দুদকের সহকারী পরিচালক খোরশেদ আলম আজ আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক শামসুদ্দোহা খন্দকারের বিরুদ্ধে ২১ কোটি পাঁচ লাখ ২৫ হাজার টাকার অপরাধলব্ধ আয়ের তথ্যপ্রমাণ পেয়েছে দুদক। অভিযোগপত্রে শামসুদ্দোহা খন্দকারের বিরুদ্ধে দুই কোটি ৮৭ লাখ তিন হাজার ৩৮৩ টাকার তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এ ছাড়া অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক শামসুদ্দোহা খন্দকারের স্ত্রী ফেরদৌসী সুলতানা খন্দকারের বিরুদ্ধে ২৭ কোটি ৪৮ লাখ ৮২ হাজার ৪৯১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পেয়েছে দুদক।
শামসুদ্দোহা খন্দকার ২০১১ সালের ১১ অক্টোবর বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব নেন। দায়িত্বপালনের সময় তার বিরুদ্ধে সীমাহীন অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এর আগে তিনি পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।