শ্রীবরদীর মেয়রের বিরুদ্ধে মামলা, খুঁজছে পুলিশ
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দ্বিতীয় দফায় ভোট চলাকালে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন, প্রাণনাশের হুমকি ও হামলার অভিযোগে উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবা শারমিন (ইউএনও) শ্রীবরদী পৌরসভার মেয়র আবু সাঈদ চানের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
গতকাল শনিবার রাতে দায়ের করা এ মামলায় মেয়র আবু সাঈদ চানকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাত আরো ৪০ থেকে ৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
গত ১৩ এপ্রিল নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে মেয়র আবু সাঈদ চানকে বরখাস্ত করার জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ পাঠানো হয়। পাশাপাপশি নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে মেয়রের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য ইউএনওকে নির্দেশ দেওয়া হয়। এ পরিপ্রেক্ষিতেই মামলা করেন ইউএনও।
শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস আলম এনটিভিকে বলেন, ‘শ্রীবরদীর মেয়রের বিরুদ্ধে শনিবার রাতেই মামলা হয়েছে। আমরা মেয়রকে গ্রেপ্তারের জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।’
ইউএনও হাবিবা শারমিন জানান, নির্বাচন কমিশন থেকে দ্রুত মামলা দায়েরের নির্দেশ থাকায় তিনি মামলা করেছেন।
শেরপুরের জেলা প্রশাসক ডা. এ এম পারভেজ রহিম এনটিভিকে বলেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ রয়েছে মামলা দায়ের করার। শনিবার রাতে শ্রীবরদীর ইউএনও ১৬১ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
শ্রীবরদী উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে সরকারি গাড়ি নিয়ে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেন মেয়র আবু সাঈদ। বিষয়টি জানতে পেরে ইউএনও হাবিবা শারমীন মেয়রকে আচরণবিধি ভঙ্গ হয় এমন কাজ না করার জন্য বলেন। এ কথায় উল্টো মেয়র আবু সাঈদ ইউএনওর সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন এবং প্রাণনাশের হুমকি দেন।
ওই দিন নির্বাচন শেষে রাত ৮টার দিকে কাকিলাকুড়া ইউনিয়নে খামারপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুর্বৃত্তরা প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবরুদ্ধ করে রাখে। সংবাদ পেয়ে ইউএনও হাবিবা শারমীন তাঁদের উদ্ধার করতে যান। ফেরার পথে ইউএনওর গাড়িতে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এতে ইউএনও আহত হন। রাতেই হাবিবা শারমীন ঘটনার বিষয়ে শেরপুরের জেলা প্রশাসককে অবহিত করেন।