ইরানে দ্বিতীয় দফায় নির্বাচন শুক্রবার
ইরানে নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে দ্বিতীয় দফায় আগামীকাল শুক্রবার (৫ জুলাই)। ইতোমধ্যে প্রার্থীদের নির্বাচনি প্রচার-প্রচারণা ও বিতর্ক শেষ হয়েছে। খবর আলজাজিরার।
১৯ মে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হলে প্রেসিডেন্ট পদটি শূন্য হয়ে পড়ে। সংবিধান অনুযায়ী, ৫০ দিনের মধ্যে নতুন নির্বাচন আয়োজনের বাধ্যবাধকতা ছিল দেশটিতে। সে হিসেবে গত ২৮ জুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়তে ছয়জনকে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছিল ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয়নেতা আয়াতুল্লা আলি খামেনির নেতৃত্বে গঠিত কর্তৃপক্ষ। এরমধ্যে দুই কট্টরপন্থী প্রার্থী নিজেদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন। ফলে প্রথম দফার নির্বাচনে লড়াই চলে চারজনের মধ্যে। কিন্তু কোনো প্রার্থী ৫০ শতাংশ ভোট না পাওয়ায় দ্বিতীয় দফায় গড়ায় ভোটগ্রহণ।
সেই লড়াইয়ে দুই কোটি ৪৫ লাখ ভোট গণনার পর দেখা গেছে, সংস্কারপন্থি মাসুদ পেজেশকিয়ান এক কোটির চার লাখ ভোট পেয়েছেন। আর তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কট্টরপন্থী প্রার্থী সাইদ জালিলি পেয়েছেন ৯৪ লাখের মতো ভোট। বাকি দুই প্রার্থী কম ভোট পাওয়ায় তারা দ্বিতীয় দফায় ভোট করবেন না। ফলে সাইদ জালিলি ও মাসুদ পেজেশকিয়ান আগামীকাল প্রেসিডেন্ট নির্বচনের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানায়, ২০০৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে ইরানের পারমাণবিক ফাইল পরিচালনার জন্য বেশ পরিচিতি পেয়েছিলেন সাঈদ জালিলি। তিনি দেশটির প্রধান পারমাণবিক আলোচক ছিলেন। সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের সর্বোচ্চ নেতা আলী খামেনির প্রতিনিধি হিসেবে তিনি এবার নির্বাচনে লড়ছেন। এর আগেও দুবার তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
অপরদিকে আরেক প্রার্থী হার্ট সার্জন মাসুদ পাজেসকিয়ান দেশটির সাবেক সংসদ সদস্য ও ডেপুটি স্পিকার। ২০০৮ সালে সংসদ সদস্য এবং ২০১৬ থেকে ২০২০ পর্যন্ত তিনি ডেপুটি স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া তিনি ২০০০ সালে দেশটির সরকারদলীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য কমিশনের দায়িত্বে ছিলেন। ২০২১ সালে রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন কিন্তু, গার্ডিয়ান কাউন্সিল অযোগ্য ঘোষণা করায় সেবার প্রার্থী হতে পারেননি পাজিসকিয়ান।
প্রথম ধাপে ছয় কোটি ১০ লাখ ভোটারের মধ্যে মাত্র ৪০ শতাংশ জনগণ ভোট দিয়েছেন বলে দাবি করেছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এই হিসাব বলছে, ১৯৭৯ সালের অভ্যুত্থানের পর কম ভোটার উপস্থিতির দিক দিয়ে রেকর্ড করেছে এই নির্বাচন।