সড়কে ট্রাফিক আইন মেনে চললে মুখোমুখি অবস্থান তৈরি হবে না : ডিএমপি
ঢাকার রাস্তায় দুই কোটি মানুষ চলাচল করে। কিন্তু, প্রতিদিন অনেকে আইন ভাঙার ফলে ট্রাফিক পুলিশ যখন আইন প্রয়োগ করে তখন তার সঙ্গে মুখোমুখি অবস্থান তৈরি হয়। একজন সচেতন নাগরিক ট্রাফিক আইন মেনে চললে মুখোমুখি অবস্থান তৈরি হবে না বলে মনে করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের দক্ষিণ বিভাগের যুগ্ম কমিশনার এস এম মেহেদী হাসান।
আজ রোববার (৭ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা জানান।
এস এম মেহেদী হাসান বলেন, ‘আমি দুই কোটি রোড ইউজারের ওপর তিন হাজার জনবল নিয়ে আইন প্রয়োগ করছি। সেক্ষেত্রে যারা রোড ইউজ করছে তাদেরও একটি বড় দায়িত্ব থাকে যে সঠিকভাবে ট্রাফিক আইনগুলো যদি আমি মেনে চলি তাহলে মুখোমুখি অবস্থান তৈরি হবে না।’
গণমাধ্যমের উদ্দেশে এস এম মেহেদী হাসান আরও বলেন, ‘আপনারা তো সবসময় আমাদের মুখোমুখি অবস্থানে ফেলে দেন। এটি কিন্তু হয় না। এজন্য আমি আপনাদের মাধ্যমে সকলকে আহ্বান জানাব, অনুরোধ করব, আমরা যে স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি, উন্নত বাংলাদেশের, সেটার ক্ষেত্রে বড় একটি ভূমিকা রাখবে, বড় একটি কম্পোনেন্ট হচ্ছে জনগণের সচেতনতা। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। পাশাপাশি অপরকে প্রায়োরিটি দেওয়া।’
এস এম মেহেদী হাসান বলেন, ‘মহাখালী বাস টার্মিনালে ব্যবস্থাপনার কিছুটা হলেও আমরা উন্নয়ন ঘটাতে সক্ষম হয়েছি। আগের মতো সেখানে আর কোনো যানজট তৈরি হয় না।’
সড়কে মোটরসাইকেল পার্কিং করলে জরিমানা করা হয় কিন্তু ঢাকার বিভিন্ন সড়কে যত্রতত্র বিভিন্ন গাড়ি পার্কিং করা হয়- বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে এস এম মেহেদী হাসান বলেন, ‘আমরা আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে বাস, ট্রাক, প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলের কোনো ক্লাসিফিকেশন করি না। যারা আইন ভঙ্গ করে আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগ করে থাকি।’
এ সময় এস এম মেহেদী হাসান জানান, ঢাকায় দুই কোটি মানুষের জন্য তিন হাজার ট্রাফিক পুলিশ সদস্য কাজ করছে। ফলে শুধু পুলিশের দায়িত্ব নয়, দুই কোটি মানুষের দায়িত্ব হচ্ছে ট্রাফিক আইন মেনে চলা। পুলিশ ঢাকা শহরের দুই কোটি মানুষের ওপর আইন প্রয়োগ করে থাকে। কিন্তু যাদের ওপর আইন প্রয়োগ করছে তাদের সচেতন হওয়া জরুরি। পাশাপাশি তাদের আইন মেনেও চলতে হবে। এজন্য তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।